নিউ টাউনের মিষ্টি হাব। ফাইল চিত্র
আকাশপথে ভিন্ রাজ্যে, এমনকি বিদেশে বাংলার মিষ্টি পাঠাতে নিউ টাউনে তৈরি হয়েছিল মিষ্টি হাব। প্রাথমিক অচলাবস্থা কাটিয়ে বর্তমানে আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে এই হাব। আর তাই সেখানে কাউন্টার খুলে রাখার সময় কিছুটা বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চাইছে মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে নিউ টাউনের ইকো পার্কে ওই মিষ্টি হাব চালু হয়েছিল। প্রথম দিকে ক্রেতাদের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে কিছুটা বেশি পরিমাণেই বাংলার মিষ্টি আকাশপথে পাড়ি দিচ্ছে ভিন্ রাজ্য এবং বিদেশে। তাই বিমানের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিষ্টি হাব আরও বেশি সময় খুলে রাখা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চাইছে ওই সংস্থাগুলি।
বিমানবন্দরে যাওয়া-আসার পথে পর্যটকেরা যাতে সহজে বাংলার মিষ্টি কিনে নিয়ে যেতে পারেন, সেই ভাবনা থেকেই মিষ্টি হাব তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। সে কারণে প্রশাসন চেয়েছিল, হাব খোলা থাকুক ২৪ ঘণ্টা। সেইমতো সমস্ত ব্যবস্থা করে দেয় হিডকো। কিন্তু মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি জানায়, ২৪ ঘণ্টা কাউন্টার খোলা রাখতে বাড়তি কর্মী রাখার জন্য অতিরিক্ত খরচ করা সম্ভব নয়। তাই স্থির হয়েছিল, মিষ্টি হাবের কাউন্টার খোলা থাকবে দিনে ৯-১০ ঘণ্টা। তার পর থেকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকত মিষ্টির স্টলগুলি। সূত্রের খবর, বর্তমানে শহরের মিষ্টির জন্য ১০টি এবং জেলার মিষ্টির জন্য একটি কাউন্টার রয়েছে সেখানে। সবক’টি কাউন্টারেই আগের থেকে বিক্রি বেড়েছে। তাই মিষ্টির স্টলগুলি আরও বেশিক্ষণ খোলা রাখা যায় কি না, তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্থির করতে চাইছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কর্ণধারেরা।
শহরের একটি মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার ধীমান দাস বলেন, ‘‘সরকারের তরফে সমস্ত সাহায্য করা হলেও ২৪ ঘণ্টা কাউন্টার খুলে রাখা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ আমাদের সেই পরিকাঠামো নেই। কিন্তু পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সকালে আরও কিছুটা তাড়াতাড়ি স্টল খোলা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনায় বসব।’’ শহরের আর এক মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার সুদীপ মল্লিক বলেন, ‘‘খুব সকালে কাউন্টার খোলা সম্ভব নয়। কারণ সে ক্ষেত্রে আগের দিনের বাসি মিষ্টি পাঠাতে হবে। নতুন ভাবে মিষ্টি তৈরি করে ওখানে পাঠাতে কিছুটা সময় লাগে। তবে বেলা ১২টার বদলে আরও কিছুটা আগে কাউন্টার খোলা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’