প্রবেশপথের এই ভ্যাট নিয়েই বিতর্ক। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
সরকারি দুই দফতরের কাজিয়ায় প্রায় শিকেয় উঠেছে বাজারের নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই। যার জেরে অনেক সময়ই বাজারের জঞ্জাল পড়ে থাকত বাইরে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে ঢোকার মুখে জঞ্জাল পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। এমনই অভিযোগ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) পরিচালিত লেক গার্ডেন্স সুপার মার্কেট নিয়ে। কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়রের ঘোষণার পরে পুরসভার তরফে এখন আবর্জনা সাফ হচ্ছে,তবে সমস্যা পুরো মেটেনি বলে দাবি ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
অলিখিত এই খোলা ভ্যাট তুলে দিয়ে একটি কম্প্যাক্টর যন্ত্র বসাতে কলকাতা পুরসভার কাছে বারবার আবেদন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, কেএমডিএ-র ওই বাজারের সামনে যেখানে আবর্জনা ফেলা হয়, সেখানে কম্প্যাক্টর বসানোর জায়গা নেই। তাই পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের গাড়িতে আবর্জনা তুলে নেওয়া হয়। এতটা অপরিসর জায়গা পরিষ্কার রাখতে শীঘ্রই ‘অটো-ট্রিপার’ ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান।
পুরসভা সূত্রের খবর, নিয়মানুযায়ী কেএমডিএ বা অন্য কোনও দফতরের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ এবং আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকেই। তাই নিয়েই কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার মধ্যে চাপান-উতোর চলছিল। কেএমডিএ-র দাবি, জঞ্জাল পরিষ্কার করার কথা পুরসভার। কারণ, এলাকার পুর পরিষেবা কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষেরই দেওয়ার কথা। পুরসভার দাবি, অন্য দফতরের অধীন জায়গার আবর্জনা তারা রোজ কেন পরিষ্কার করবে? সম্প্রতি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতার মেয়র হওয়ার পরেই ঘোষণা করেন, সম্পত্তি যে দফতরেরই হোক, পড়ে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কার করবেন কলকাতা পুরসভা। সেই ঘোষণার ভিত্তিতেই দুই দফতরের আলোচনার পরে বাজারের সামনে থেকে নিয়মিত আবর্জনা সাফাই শুরু করেছে পুরসভা।
লেক গার্ডেন্স সুপারমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দুলাল ঘোষ বলেন, ‘‘এখন নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করছে পুরসভা। তবে বাজারের পরিচ্ছন্ন রাখতে ওখানে কম্প্যাক্টর বসানো খুবই জরুরি।