Kidnapping

অপহৃতকে বাড়ি পাঠাল দুষ্কৃতীরাই

শনিবার রাতে গোপালও পুলিশের কাছে দাবি করেন, ওই দিন বিকেলে অপহরণকারীরা জানায়, তারা পুলিশি ঝামেলায় জড়াতে চায় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০২:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

নিখোঁজ হওয়ার চার দিনের মাথায় সন্ধান মিলল বেলুড়ের ব্যবসায়ীর। পুলিশের দাবি, অপহরণকারীদের কিছু ডেরায় তল্লাশি চালানোর পরে শনিবার তারা নিজে থেকেই ছেড়ে দেয় ব্যবসায়ী গোপাল বুধালিয়াকে। বুধবার সকালে বালির একটি ব্যাঙ্কে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন গোপাল। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে কিছু তথ্য আসে। সেই সূত্রেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, হুগলির দু’-তিনটি জায়গার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে গোপালের অবস্থান।

Advertisement

শনিবার রাতে গোপালও পুলিশের কাছে দাবি করেন, ওই দিন বিকেলে অপহরণকারীরা জানায়, তারা পুলিশি ঝামেলায় জড়াতে চায় না। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পরে অপহরণকারীরাই গাড়ি ভাড়া দিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (উত্তর) প্রোইন প্রকাশ বলেন, ‘‘আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কারণেই ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, বুধবার ব্যাঙ্ক থেকে বেরোনোর পরেই কয়েক জন অপরিচিত তাঁকে মারধর করে গাড়িতে তুলে উত্তরপাড়া নিয়ে যায়। তাঁর কপালে আঘাত করা হয়। গোপালের কপালে সেই আঘাতের চিহ্ন মিললেও তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

গোপালের আরও দাবি, আর এক ব্যবসায়ীর খোঁজ পেতেই তাঁকে অপহরণ করেছিল হুগলির কয়েক জন যুবক। তাদের সঙ্গে দু’-তিন জন মহিলাও ছিল। ওই ব্যবসায়ী জানান, তাঁকে কখনও উত্তরপাড়া, কখনও বৈদ্যবাটীতে রাখা হচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেখানে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অন্য দিকে গোপালের স্ত্রী পুনম পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, বুধবার থেকে অপহরণকারীরা তাঁকে ফোন করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। সেই মতো বৃহস্পতিবার তিনি হুগলির একটি জায়গায় গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়েও আসেন। পুনমকে নিয়ে হুগলির কয়েকটি জায়গায় গেলেও তিনি আর সেই জায়গাটি চেনাতে পারেননি বলে দাবি পুলিশের। টাকা দেওয়ার সত্যতা কতটা, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা।

এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অন্য ব্যবসায়ীর খোঁজ পেতে গোপালকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। মুক্তিপণ চেয়ে টাকা রোজগারের মতলব ফেঁদেছিল অপহরণকারীরা। তবে সত্যিই তারা গোপালের অপরিচিত কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement