এখনও ‘সরকারি ভাবে’ পাঁচ বছর আগের হারেই থমকে রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ডিজ়েলের দাম লাফিয়ে বাড়লেও বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাবের ভাড়া এখনও ‘সরকারি ভাবে’ পাঁচ বছর আগের হারেই থমকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজ়েলের বর্ধিত মূল্যের ধাক্কা সামলানোর পাশাপাশি ‘পুলিশি হয়রানি’র মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ বাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’-এর। শুক্রবার এই অভিযোগকে সামনে রেখে সংগঠনের তরফে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাছে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। যদিও বৈঠকের পরে পরিবহণমন্ত্রী জানান, বাসভাড়া বাড়ছে না। আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারের তরফে বাসে ২০১৮ সালের ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এ দিন জানান পরিবহণমন্ত্রী।
বাস্তবে বেসরকারি বাস-মিনিবাসে সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি হারে ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে মন্ত্রী সরকারি স্তরে নজরদারি চালানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে জানান, সরকারের কাছে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের তরফে সে ভাবে অভিযোগ আসেনি। অতিমারির সময়কার ঘটনার অবতারণা করে মন্ত্রী মনে করান, বেসরকারি বাসভাড়া সরকারের পরিবর্তে বাসমালিক ও যাত্রীদের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় ঠিক হওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি বাসের ভাড়া কম থাকলেও বেসরকারি বাসভাড়া বৃদ্ধি সেই ভাবে হতে পারে। কিন্তু পরে বাসমালিকেরা একমত হতে না পারায় সমাধানসূত্র মেলেনি।
অ্যাপ-ক্যাবের সমস্যা মেটাতে সরকারি উদ্যোগে অ্যাপ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলেও এ দিন জানান তিনি। পরিবহণ দফতর সরকারি বাসের জন্য ‘পথদিশা’ ও কলকাতা পুলিশ ‘চলো’ নামে দু’টি অ্যাপ তৈরি করেছিল। এখন সেগুলি কার্যত অচল। সরকারি উদ্যোগে ক্যাব ও ট্যাক্সির জন্য অ্যাপ তৈরি শুরু হলেও ট্যাক্সিচালক সংগঠন ও অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি।