প্রতীকী চিত্র।
বাস ভাড়া নিয়ে রাজ্য সরকারের অনমনীয় মনোভাব বুঝে কিছুটা সুর নরম করে ধীরে চলার পথ নিতে চলেছে বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি। এর ফলে আজ, বুধবার থেকে কলকাতায় বাসের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে খবর।
বিভিন্ন রুটে বাস সচল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রীদের অনুরোধ করেই কিছুটা বাড়তি ভাড়ার আর্জি জানানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের দূরত্ব ভেদে ১০, ১৫ বা ২০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
ডিজেলের বর্ধিত মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে এত দিন বাসমালিক সংগঠনগুলি বলছিল, ভাড়া না বাড়ালে বাস রাস্তায় নামানোই সম্ভব নয়। এ বার তাদের দাবি, তারা কাউকে বাস চালাতে জোর করবে না, নিষেধও করবে না। যাত্রীদের সহানুভূতির উপরেই আস্থা রাখতে চাইছেন সংগঠনের নেতৃত্ব। এ দিন ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার কথা বিস্তারিত ভাবে সরকারকে জানিয়েছি। সরকার বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা বাস চালাতে জোর করব না। আবার নিষেধও করব না।”
বাসমালিক সংগঠন সূত্রের খবর, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় যত বাস নামছে, বেশির ভাগই যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ধর্মতলা থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে যথেচ্ছ ভাড়া আদায় হচ্ছে। কোথাও ভুয়ো চার্ট ছাপিয়ে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কোথাও যাত্রীদের অনুরোধ করে অনুদান হিসেবে বাড়তি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাসমালিকেরা কে, কোন পন্থা নেবেন, তার উপরে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলে মত সংগঠনের নেতৃত্বের। তবে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘাত হলে ফের বাস বন্ধ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন মালিকেরা। ‘বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, “মানুষকে অসুবিধায় ফেলতে চাই না। কিন্তু বাসমালিকদের দুর্দশাও কম নয়। যে, যে ভাবে পারবেন, বাস চালাবেন।”