পাথরের আঘাতে ভেঙেছে বাসটির কাচ। নিজস্ব চিত্র
ভোরে রাস্তা পুরো আটকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সিগারেট কিনছিল তিন যুবক। যার জেরে আটকে গিয়েছিল একটি সরকারি বাস। অভিযোগ, গাড়িটিকে সরাতে বার কয়েক হর্ন দেওয়ায় প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ঢাকা কালীবাড়ির কাছে বেধড়ক মারধর করা হল এক সরকারি বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে। এমনকি, পাথর ছুড়ে বাসের কাচও ভাঙতে দেখা গিয়েছে ওই যুবকদের। গোলমালের শব্দে স্থানীয়েরা এসে পড়ায় পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ। সকালের প্রথম ট্রিপ শুরু করার জন্য রাজ্য পরিবহণ নিগমের লেক ডিপো থেকে এস-৮বি রুটের একটি বাস চালিয়ে যাদবপুরের ৮-বি বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন চালক পিন্টু হালদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কন্ডাক্টর উত্তম নস্কর। ভোর ৫টায় যাদবপুর থেকে হাওড়ার দিকে বাস ছাড়ার কথা ছিল তাঁদের। ডিপো থেকে বেরিয়ে আসার কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ঢাকা কালীবাড়ির কাছে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, একটি এসইউভি গাড়ি থেকে তিন যুবক নেমে রাস্তার মোড় সংলগ্ন দোকান থেকে সিগারেট কিনছে। গাড়িটি রাস্তা জুড়ে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল যে, ওই বাসের পক্ষে কোনও ভাবেই সেটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। অভিযোগ, বাসচালক বার কয়েক হর্ন বাজাতেই তিন যুবক বাসে চড়াও হয়ে চালক ও কন্ডাক্টরকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। পরে এক জনকে রাস্তা থেকে পাথর কুড়িয়ে বাসের কাচ ভাঙতেও দেখা যায়।
গোলমালের শব্দ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসতেই তড়িঘড়ি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা। ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চালক ও কন্ডাক্টর। বাঘ যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পরে লেক থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের অভিযোগ, ওই গাড়িতে তিন যুবকের সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন। তিন যুবকই মত্ত অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। বাসচালক পিন্টুর কথায়, ‘‘রাস্তা থেকে গাড়ি সরাতে বলতেই কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তিন জন বাসে উঠে আমাদের এলোপাথাড়ি কিল, চড়, লাথি মারতে শুরু করে। আমার চোখে আঘাত লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা সময়মতো ঘটনাস্থলে চলে আসাতেই অভিযুক্তেরা পালায়।’’ এলাকার লোকজনই লালবাজারের পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং লেক থানায় খবর দেন। কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।