মামলা পরিবেশ আদালতে

নির্মাণকাজও বাড়াচ্ছে বায়ু দূষণ

রাজ্য প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র নবান্নের অদূরেই টায়ার পুড়িয়ে পিচ গলানো চলছে। বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১১
Share:

রাজ্য প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র নবান্নের অদূরেই টায়ার পুড়িয়ে পিচ গলানো চলছে। বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে!

Advertisement

মেট্রো রেলের কাজের জন্য কেটে রাখা মাটির গুঁড়ো আর বালি-সিমেন্টের গুঁড়ো হাওয়ায় মিশছে নিউ টাউনে। খোদ জাতীয় পরিবেশ আদালতের সামনেই!

কলকাতার বায়ু দূষণ নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। এ বার বায়ু দূষণ নিয়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের মামলাতেও উঠে এল এমনই তথ্য। মঙ্গলবার আদালতে সুভাষবাবু জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ হাওড়ায় মাটি কেটে ডাঁই করে রেখেছেন। সেখান থেকে মাটির গুঁড়ো হাওয়ায় মিশছে। পরিবেশবিদেরা বারবারই জানিয়েছেন, বাতাসে ভাসমান কণার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য গাড়ির ধোঁয়ার পোড়া কার্বনের পাশাপাশি নির্মাণস্থলের মাটি, বালি, সিমেন্টের গুঁড়োর ভূমিকাও কম নয়। এই শহরের ক্ষেত্রে কোন উৎস থেকে কতটা দূষণ ছড়ায়, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানে না পরিবেশ দফতর। এ নিয়ে সমীক্ষা শুরু হতে চলেছে। তবে পরিবেশকর্মীদের অনেকেরই অভিযোগ, দূষণের মূল উৎস পণ্যবাহী ডিজেল গাড়ি। কিন্তু শহরে যে ভাবে নির্মাণকাজ বাড়ছে, তাতে বায়ু দূষণের কারণ হিসেবে তা দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।

Advertisement

সুভাষবাবু এ দিন পণ্যবাহী গাড়ি নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, রোজ শহরে কয়েক হাজার পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকলেও সেগুলির পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে কি না, তা দেখা হয় না। এ ক্ষেত্রে দিল্লির উদাহরণ টেনে সুভাষবাবু বলছেন, সেখানে বায়ু দূষণ ঠেকাতে এ ধরনের গাড়ি আটকানো হচ্ছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের প্রধান বেঞ্চের নির্দেশ মেনে পণ্যবাহী গাড়ির উপরে পরিবেশ করও চাপানো হচ্ছে। কলকাতায় তা নেই। তিনি জানান, উল্টে পুরসভার জঞ্জালবাহী গাড়িগুলিই সব চেয়ে বেশি দূষণ ছড়ায়।

সুভাষবাবুর সওয়ালের পরে জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মতামত জানতে চেয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকে মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এ দিন আদালতে ছিলেন পর্ষদের কৌঁসুলি অর্পিতা চৌধুরী। তাঁকে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, হাওড়াতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement