পুজোর শহরে কেব্‌ল বাঁচাতে তৎপরতা তুঙ্গে

যদিও বিএসএনএলের দাবি, অনেক সময়েই অন্য সংস্থার নানা কাজের জেরে কেব‌্ল কাটা পড়ার জন্য পরিষেবা ব্যাহত হয়। সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে তা সারাইয়ের অনুমতি পেতেও দেরি হয়। তেমনই পুজোর সময়েও মণ্ডপ গড়া বা ঠাকুর দেখার রাস্তা তৈরির জন্য বাঁশের খুঁটি পোঁতার সময়েও অনেক ক্ষেত্রে কেব‌্ল কাটা পড়ে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিএসএনএলের টেলি পরিষেবার হাল নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। এ নিয়ে ‘বদনাম’ এমনিতেই সঙ্গী বিএসএনএলের। তার উপরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড তৈরির খোঁড়াখুঁড়ির জেরে ‘কেব‌্ল’ কাটা পড়ে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে তারা। সেই বিপদ এড়াতে পুজো কমিটিগুলিকে চিঠি দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। যাতে খোঁড়াখুঁড়ির আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএসএনএলের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেব‌্ল কাটা পড়া ঠেকানো যায়।

Advertisement

বিএসএনএলের পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অনেকেরই নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অভিযোগ জানালেও তার প্রতিকার মিলতে কখনও কখনও দিনের পর দিন গড়িয়ে যায়। সংস্থার কর্মীদের একাংশের কর্ম-সংষ্কৃতির অভাবে পরিষেবার মান ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

যদিও বিএসএনএলের দাবি, অনেক সময়েই অন্য সংস্থার নানা কাজের জেরে কেব‌্ল কাটা পড়ার জন্য পরিষেবা ব্যাহত হয়। সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে তা সারাইয়ের অনুমতি পেতেও দেরি হয়। তেমনই পুজোর সময়েও মণ্ডপ গড়া বা ঠাকুর দেখার রাস্তা তৈরির জন্য বাঁশের খুঁটি পোঁতার সময়েও অনেক ক্ষেত্রে কেব‌্ল কাটা পড়ে। কিন্তু পুজো চলাকালীন তা সারাতে গেলে অনেক সময়েই আপত্তি তোলে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি। ফল ভুগতে হয় গ্রাহকদের।

Advertisement

এই সমস্যা বিশেষ করে দেখা যায় কলকাতা ও বেহালা বা দমদমের মতো সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায়। সেই সব জায়গার পুজোও কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। এই সব এলাকার দায়িত্বে থাকা বিএসএনএলের শাখা ‘ক্যালকাটা টেলিফোন্স’-এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার এস পি ত্রিপাঠী জানান, পুজোর খোঁড়াখুঁড়ির সময়ে জানা না থাকলে মাটির নীচে কে‌ব‌্ল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তেমনই উপর দিয়ে যাওয়া (ওভারহেড) কেব‌্ল-ও কখনও কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি বলেন, ‘‘পুজোর খোঁড়াখুঁড়ি কিংবা অন্য কোনও কাজের জন্য নীচের বা উপরের কেব‌্ল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য আমাদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুজো উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করে আমাদের ১০ জন এরিয়া ম্যানেজারের মাধ্যমে চিঠি দিয়েছি। তাঁরা যোগাযোগ করলে কোথা দিয়ে আমাদের কেব‌্ল গিয়েছে, তা তাঁদের জানিয়ে দেব। তার ভিত্তিতে কী ভাবে তাঁরা তাঁদের কাজ করতে পারেন, সে বিষয়েও পরমার্শ দেব। সে ক্ষেত্রে সেই কেব‌্ল বাঁচিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যেতে পারে। তেমনই ওভারহেডের তারও প্রয়োজনে সাময়িক ভাবে অন্য দিক দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে পারি। এর ফলে আচমকা কেব‌্ল কাটা পড়ার আশঙ্কা কমানো যাবে।’’

কলকাতায় আসার আগে ইলাহাবাদে থাকার দরুণ তিনি কুম্ভ মেলার দায়িত্ব সামলেছেন। সেখানেও বাঁশের গর্তের জন্য এমন সমস্যার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। পাশাপাশি গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পরে এখানকার পুজোর প্রথম অভিজ্ঞতাও তাঁর হয়েছে। সব মিলিয়ে তাই আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়ে পুজোর সময়ে সংস্থার পরিষেবা বজায় রাখতেই এমন পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement