দিল্লিতে সব শ্রেণির জন্য স্কুল বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ক্রমশ উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে দিল্লির দূষণ। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী দিল্লিতে কেবল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা রাখতে বলা হয়েছিল। অন্য শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হয়। কিন্তু দিল্লির আপ সরকারের এই নির্দেশ সোমবার শীর্ষ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহ্র বেঞ্চের প্রশ্ন, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ফুসফুস কি আলাদা?
দিল্লি ছাড়াও জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর)-এ থাকা তিন রাজ্যের একাংশে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের রাজধানী লাগোয়া অংশে থাকা স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পড়ুয়াদের দূষণের হাত থেকে যথাসম্ভব রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আপাতত সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করতে না হলেও অনলাইনে ক্লাস চলবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) চালু করেছে দিল্লি সরকার। আট দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। প্রথমে প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্লাস অনলাইনে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আপ সরকার। পরে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করানোর কথা বলা হয়।
সোমবারের শুনানিতে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে ধমক দেয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি এএস ওকা এবং বিচারপতি এজি মাসিহ্র বেঞ্চ জানতে চায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতে কেন এতটা সময় নেওয়া হল? এর পাশাপাশি বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চতুর্থ পর্যায়ের ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) বহাল রাখতে হবে। দিল্লিতে বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) যদি ৩০০-এর নীচে নেমে যায়, তা হলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্র্যাপ-৪ তুলে নেওয়া যাবে না।