একই ক্যাম্পাসে দুই কলেজ। মনোমালিন্য লেগেই রয়েছে। এ বার বিরোধ হেঁশেল নিয়ে।
দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজ এবং যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ চলে একই ক্যাম্পাসে। পড়ুয়াদের জন্য ক্যান্টিন একটাই। সম্প্রতি একতলা ক্যন্টিনটির সংস্কার করা হচ্ছে। একতলা থেকে ক্যান্টিনটি সরানো হয়েছে দোতলায়। এ বার সেই ক্যান্টিনে দু’টি রান্নাঘর তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে আপত্তি তুলেছে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ। ফলে প্রায় দশ মাস সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকা ক্যান্টিন কবে খুলবে, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।
এর আগে এই দুই কলেজের বিদ্যুতের বিল দেওয়া নিয়েও দুই কর্তৃপক্ষের মধ্যে হয়েছিল চূড়ান্ত কাজিয়া। শেষ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করে দেওয়া ‘সমন্বয় সাধন কমিটি’র বৈঠকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়েছিল। ওই কমিটির বৈঠকেই গত বছর ঠিক হয় ক্যান্টিন এবং ছাত্র সংসদের দফতর সংস্কার করা হবে। বাড়ানো হবে আয়তন।
কিন্তু আবার সমস্যা। এতে বিরক্ত পড়ুয়ারাও। বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের একাংশ বলেন, এই কাজিয়া ফলে ক্যান্টিনের সুবিধা থেকে তাঁদের আরও কিছু দিন বঞ্চিত হয়ে থাকতে হবে। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, ‘‘আমাদের কোনও কিছু না জানিয়ে আইন কলেজ দু’টি ক্যান্টিন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। কী নকশায় কাজ হবে, তাও ওরা আমাদের জানায়নি। এই ভাবে কোনও কিছু আমাদের উপরে চাপিয়ে দিলে মানব না।’’ আইন কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কার পাল্টা বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বহু বিষয় নিয়ে ওই কলেজ ঝামেলা করে যাচ্ছে। আমরা তাই ওদের সঙ্গে একই রান্নাঘর ব্যবহার করতে চাইছি না।’’
ফলে পড়ুয়ারা আবার কবে থেকে ক্যান্টিন ব্যবহার করতে পারবেন, সেই বিষয়টিই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। এ দিন এই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি অর্ক নাগ বলেন, ‘‘পড়ুয়াদেরই অসুবিধা হচ্ছে। এর পরে ছাত্র সংসদের অফিস সংস্কার হওয়ার কথা। সে কাজও মসৃণভাবে হবে কিনা, তা নিয়ে এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’’