এলাকা দখল ঘিরে মারামারি, উত্তপ্ত আনন্দপুর

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। আসেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার অফিসারেরাও। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। লালবাজার জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত উভয় পক্ষের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোলমালের এক দিকে ছিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীরা, অন্য দিকে স্থানীয় ওয়ার্ডের এক তৃণমূল নেতার সমর্থকেরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে আচমকা গুলশন কলোনিতে সশস্ত্র অবস্থায় হাজির হন তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীরা। তাঁরা এসেই এলাকায় চড়াও হলে পাল্টা রড, লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূল নেতার সমর্থকেরা। এর পরেই দু’দলে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, প্রথমে দু’পক্ষ মারপিটে জড়ালেও কিছু ক্ষণ পরে একটি গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তাতে দুই গোষ্ঠীরই বেশ কয়েক জন জখম হন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। আসেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার অফিসারেরাও। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। লালবাজার জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত উভয় পক্ষের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

যদিও এলাকাবাসীর দাবি, মঙ্গলবারই প্রথম নয়। পুজোর আগে থেকেই গুলশন কলোনি এবং সংলগ্ন এলাকায় এই দু’দলের গোলমালে তাঁরা অতিষ্ঠ। অভিযোগ, এলাকায় বেআইনি প্রোমোটিংয়ের রমরমা বেড়ে যাওয়ার জন্য এই সমস্যা তীব্রতর হয়েছে। কারণ প্রোমোটিংয়ের কাজে কে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করবে, তার উপরেই এলাকায় কার কর্তৃত্ব বজায় থাকবে তা নির্ভর করছে। স্থানীয়দের আরও দাবি, মাঝখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই নির্মাণ ঘিরে সংঘর্ষ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তা বন্ধ করার জন্য আনন্দপুর থানার পুলিশকে রীতিমতো নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনেই নির্মাণকাজ চলছে। লালবাজার জানিয়েছে, ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement