গুঁড়িয়ে দিতে হবে ১৬টি বাড়ি! ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ছুঁতে পারে ১৫০

গত শনিবার থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩২
Share:

চলছে বাড়ি ভাঙার কাজ। —নিজস্ব চিত্র।

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা। মেট্রো কর্তাদের অনুমান ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা একশোর কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। কিন্তু, সেই তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।

Advertisement

কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ১২০টি পরিবারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটা পৌঁছে যেতে পারে দেড়শোর কাছাকাছি।

গত শনিবার থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। ওই দিন ১৯টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকার চেক। মেট্রো সূত্রে খবর, ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্টে এবার সরাসরি টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সে কারণে পুলিশ এবং পুরসভার সাহায্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

Advertisement

সন্তর্পণে এগোচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। —নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: এর পরে কে, প্রহর গুনছে বৌবাজার​

অন্য দিকে, দুর্গা পিতুরি লেনে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছিল। সোমবার আরও ১১টি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে মোট ১৬টি বাড়ি আপাতত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।

এদিন সকাল থেকেই বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে যে বাড়িগুলি ভেঙে ফেলতে হবে তার চিহ্নিতকরন প্রক্রিয়া শুরু করেন। দুপুরের পর দুর্গা পিতুরি লেনের একটি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়। তবে নিরাপত্তার কারণে সন্ধ্যা নামার পর আর বাড়ি ভাঙার কাজ হয়নি, এমনটাই জানা গিয়েছে পুরসভা সূত্রে। চিহ্নিত করা প্রতিটি বাড়ি ধাপে ধাপে ভেঙে ফেলা হবে। তবে ওই বাড়িগুলি ভাঙতে গিয়ে যাতে আশপাশের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: বৌবাজারে ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙার কাজও শুরু করল মেট্রো​

মেট্রো সূত্রে খবর, বাস্তুহারাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৭০০ জনকে বউবাজার এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। তাঁদের কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে সকাল-বিকেল খাবারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement