প্রতীকী ছবি।
কেমন মানা হচ্ছে বিধি, মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন দুই সিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা
পুজো নিয়ে আদালতের নির্দেশ কি মানা হচ্ছে? মঙ্গলবার শহরের সাতটি মণ্ডপ পরিদর্শন করে সেই ব্যবস্থাই দেখলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। পাশাপাশি হোটেল, রেস্তরাঁয় পার্টিগুলির উপরেও নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেন তিনি। এ দিন মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরোন বিধানগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারও।
সোমবার পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বেরিয়েছিলেন যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার-সহ দমকল ও ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা। আর মহালয়ার ঠিক এক দিন আগে সকাল সাড়ে দশটায় একডালিয়া এভারগ্রিনে পৌঁছে যান সিপি। সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অন্য কর্তারা। মিনিট দশেক ওই মণ্ডপ দেখার ফাঁকেই একাধিক বার সিপি কথা বলেন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। পরে দেশপ্রিয় পার্কের মণ্ডপে গিয়েও তিনি পুজোকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। মণ্ডপ থেকে ১০ মিটার দূরে দর্শনার্থীদের আটকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখেন।
এ বছরও পুজো নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মণ্ডপের ১০ মিটার দূরে দর্শকদের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝোলাতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফেও গত বছরের মতোই মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘কলকাতা হাই কোর্ট এবং সরকারের নির্দেশ আদৌ মানা হচ্ছে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পুজোকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’ উৎসবের সময়ে শহরের রেস্তরাঁ, হোটেলের রেভ পার্টিতে মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে সিপি জানান, পুজোর সময়েও এ দিকে বিশেষ নজরদারি চালাবে পুলিশ।
এ বছর সংক্রমণের প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও ভিড় বাড়বে বলেই আশঙ্কা সব মহলের। তার অন্যতম কারণ, অনেকেই প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নিয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। পুলিশ কমিশনার জানান, পুজোর ক’দিন রাস্তার ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনা মাস্কে দেখলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিধাননগর পুর এলাকার সাতটি বড় মণ্ডপ ঘুরে প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। শ্রীভূমি, দমদম পার্ক ও সল্টলেকের সাতটি পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছিল কোভিড বিধির উপরেই।