ফাইল ছবি
রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহর জুড়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গ্রেফতার ৬ জন। পাকড়াও ১ জন। তবে তাঁরা ওই ঘটনায় আদৌ যুক্ত কি না, বা জড়িত থাকলে কী ভাবে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এই ৭ জনের মধ্যে পাকড়াও ২৪ বছরের সানি রাউত কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের ফল এই ঘটনা। অন্য গোষ্ঠীকে ভয় পাইয়ে দিতেই বোমাবাজি করা হয়।
ঘটনার শিকড় খুঁজতে পুলিশি অভিযানের অংশ হিসাবে পর্ণশ্রী, পূর্ব যাদবপুর ও কসবা থানা এলাকা থেকে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বোমা তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এদের সঙ্গে বুধবারের ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না।
পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ২০-২৫ জন যুবক ৮-১০টি গাড়ি ও ২-৩টি মোটর সাইকেলে এসে রাজডাঙ্গা মেন রোড এলাকায় বোমা ফাটায়। ধৃত একজন ছাড়া বাকি জড়িতদের ধরতে তদন্ত চালাছে পুলিশ। দ্রুত বাকিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার ভর সন্ধ্যায় খোদ রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। যদিও ইন্দ্রনীল সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। চন্দননগরে একটি কাজে গিয়েছিলেন। ঘটনার খবর পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ যা যা করণীয় করছে। এমনিতে এটি খুবই নিরাপদ এলাকা। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না। বাড়ির সকলেই নিরাপদে আছেন।’’
ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছয় কসবা থানার পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, যে সব তরুণ এসে হামলা চালিয়েছে, তাঁরা স্থানীয় নন। এমন বোমাবাজির ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি, তাই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।