প্রতীকী ছবি।
রিজেন্ট কলোনিতে সমীররঞ্জন সূরের (৬৮) মৃত্যুর সঙ্গে খুনের কোনও যোগ নেই। মঙ্গলবার দুপুর দু’টো নাগাদ শারীরিক সমস্যার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতের অন্ধকারে একটা প্রমাণ সাইজের থামোর্কলের বাক্সে শ্যালক বিশ্বনাথ দাসকে বরফ নিয়ে মৃতের বাড়িতে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশিদের। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। যদিও যাদবপুর থানার পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে খুনের কোনও যোগ নেই।
দেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, তা তিন দিনের পুরনো। কিন্তু ময়না তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ৩ দিনের নয়, বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার ২ টো নাগাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, রিজেন্ট কলোনির বাসিন্দা সমীররঞ্জনবাবু গত কয়েক বছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। সমীররঞ্জনবাবুর স্ত্রী-মেয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পঞ্জাব বেড়াতে যাওয়ায় আপাতত ওই বাড়িতে একাই ছিলেন বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের অভিযোগ, এ বার ঐশী ঘোষদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পুলিশের
স্থায়ীয়দের অভিযোগ, সমীররঞ্জনবাবুকে খুন করে বরফচাপা দিয়ে রেখেছিলেন তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাস। পুলিশের কাছে তাঁদের দাবি, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মাছ সংরক্ষণের মতো বড় পেটি (থার্মোকলের বাক্স)-তে বরফ ভরে সমীররঞ্জনবাবুর বাড়িতে বিশ্বনাথবাবুকে ঢুকতে দেখেন তাঁরা। পুলিশ এসে সমীররঞ্জনবাবুর দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।সমীররঞ্জনবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। এ দিন দুপুরে তাঁরা কলকাতায় ফিরে আসেন।
এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পড়শিদের অভিযোগের তির সমীরবাবুর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের দিকে। পুলিশকে তাঁদের একাংশের দাবি, যে বাড়িতে সমীর থাকতেন, সেটি প্রোমোটিংয়ের জন্য কথা চলছিল। তাতে বাদ সাধছিলেন সমীররঞ্জনবাবু। এ নিয়ে বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়েছিল। সে কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বনাথবাবু। তিন পাল্টা দাবি করেন, গত কাল রাতে সমীররঞ্জনবাবুক খাবার দিতে ওই বাড়িতে এসে তিনি দেখেন, বৃদ্ধ কোনও সাড়া দিচ্ছেন না। বিষয়টি তিনি তাঁর দিদিকে জানান। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দিয়ে তাঁর দেহ পরীক্ষা করিয়ে ডেথ সার্টিফিকেটও নেন বিশ্বনাথবাবু। যে হেতু তাঁর পরিবার বাইরে ছিল, তাই সমীররঞ্জনবাবু দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করছিলেন।
আরও পড়ুন: হস্টেলের ঘরও নিরাপদ নয়? প্রশ্ন উদ্বিগ্ন ছাত্রীদের