ফাইল চিত্র।
বাইপাস সংলগ্ন বেশ কিছু জমি মৎস্য দফতরের অধীনে থাকায় সেখানে বাড়ি তৈরি করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে কয়েকটি জমির মালিকেরা বাড়ি তৈরির অনুমতি পেলেও অনেকে এখনও তা পাননি। সে কারণে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর শর্তসাপেক্ষে ওই জমিতে বাড়ি তৈরির প্রাথমিক অনুমতি দেবে। পরে অবশ্য পুরসভার অনুমতিও নিতে হবে।
কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল অনিন্দ্য কারফর্মা বলেন, ‘‘ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথিপত্র ঠিক থাকলে কলকাতা পুরসভা সেখানে বাড়ি করার অনুমতি দেবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষ জানান, গত পাঁচ বছর ধরেই ওই জমিতে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নিয়ম কঠোর করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এখনও যাঁরা বাড়ি তৈরির অনুমতি পাননি তাঁদের কী করণীয়?
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক জানান, সরকারি নথিতে জমির চরিত্র কী তা আগে দেখতে হবে। আরও দেখতে হবে, জমির মালিকের নাম এবং ওই জমির ‘বিএলআরও মিউটেশন’ আছে কি না। সব কিছু ঠিক থাকলে সেই জমি ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে জমির মালিককে পুরসভার কাছে আবেদন করতে হবে। এমনই একটি জমির মালিক সমর পাল বলেন, ‘‘কালিকাপুরের কাছে জমি কিনেছি বহু দিন হয়ে গেল। কিন্তু বাড়ি করতে পারছি না। পুরসভাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’
ওই এলাকাটি ১২ নম্বর বরোর অন্তর্ভুক্ত। বরো চেয়ারম্যান সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনে জমির চরিত্র বদলের রেকর্ড থাকলে মালিকানা পাওয়া এবং বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না।’’
মৎস্য দফতরের খবর, প্রায় অর্ধশতক আগে বাইপাস সংলগ্ন সিংহবাড়ি, অহল্যানগর, কালিকাপুরের একাংশে বিস্তীর্ণ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে জনবসতি বাড়তে থাকায় সেই জমি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তখন কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ মৎস্য দফতরের কাছে আবেদন করেন, পুর পরিষেবার জন্য ওই জমি ছেড়ে দেওয়া হোক। সেই আর্জি মেনে মৎস্য দফতর অধিগৃহীত বেশ কিছু জমি ছেড়ে দেয়। সেগুলি কিনে নিয়ে অনেকে সেখানে পুর অনুমতি পেয়ে বাড়িও তৈরি করেন।
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই জমির চরিত্র আগে দেখা হত। কিন্তু ২০১৬ সালের পরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর পুরসভাকে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হতে নির্দেশ দেয়। বলা হয়, তাদের অনুমতি ছাড়া পুরসভা যেন কোনও জমির মালিককে বাড়ি তৈরির অনুমতি না দেয়।