রক্তের আকাল ঘোচাতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন রক্তদান শিবির। ফাইল চিত্র।
‘ডাকঘরের’ অমলকে বাইরে বেরোতে বারণ করেছিলেন কবিরাজমশাই। তাই শরতের রোদ-হাওয়া থেকে দূরে, চার দেওয়ালে বন্দি থাকতে হত ছোট্ট বালককে। তার ছিল রক্তাল্পতা এবং প্লীহা বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
‘ডাকঘরের’ অমলের অসুখের সঙ্গে আজকে থ্যালাসেমিয়ার মিল খুঁজে পান এ নিয়ে কাজ করা অনেকেই। অমলের স্রষ্টার জন্মদিনের সঙ্গে এ বার মিশে গিয়েছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসও। তাই অমলকে সামনে রেখে আজ, ৮ মে (২৫ বৈশাখ) রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন।
সংস্থার কর্তা সঞ্জীব আচার্য জানিয়েছেন, ভূপেন বসু অ্যাভিনিউয়ে ওই শিবিরে এখনও পর্যন্ত ৬০ জন রক্ত দেবেন বলে ঠিক হয়েছে। তবে, ভ্রুকুটিও আছে। কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ওই এলাকায় মিলেছে করোনা আক্রান্তের হদিস। রক্তদান নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী দীপঙ্কর মিত্রের কথায়, ‘‘পুলিশ না চাইলেও স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে শিবিরের অনুমতি দিচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: করোনার সচেতনতায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান কবিপ্রণামে
রাজ্যে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারেরও বেশি। বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্ত্রী তানিয়া দাসের কথায়, ‘‘মজুত রক্তের পরিমাণ কমছে। কেউ রক্ত চাইতে এলে দাতা নিয়ে আসতে বলছি। কিন্তু অনেকেই দাতা পাচ্ছেন না। পেলেও তাঁকে আনার বিস্তর ঝামেলা।’’
আরও পড়ুন: আক্রান্ত আরও ৩ পুলিশ
‘থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’র সদস্য তাপস সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন হাজার নতুন রোগীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। ওঁদের জন্য রক্তের জোগান নিয়ে সকলেই দুশ্চিন্তায়।’’ রোগীদের অভিভাবকদের সংগঠন ‘থ্যালাসেমিক গার্জেন্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর কর্তা গৌতম গুহ বলেন, ‘‘অভিভাবকদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত। দাতা জোগাড় করে তাঁদের এনে রক্তের ব্যবস্থা করাতে গিয়ে এক বারেই কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। অনেককেই ধার করে রক্তের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)