সংঘর্ষে আহত। —নিজস্ব চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর সমর্থনে প্রচারকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল কেষ্টপুর মিশন বাজারে। বিজেপির অভিযোগ, সিএএ-র সমর্থনে পোস্টার এবং ব্যানার লাগাতে গেলে, তাঁদের উপর হামলা হয়। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বিজেপি প্রচারের নামে হামলা চালায় তাদের দলীয় কার্যালয়ে। হামলার প্রতিবাদে এক ঘণ্টার বেশি সময় কেষ্টপুরে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি গৌতম বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের কয়েক জন মহিলা কর্মী-সহ একদল কর্মী কেষ্টপুরের রাস্তার দু’পাশে ফ্লেক্স এবং পোস্টার লাগাচ্ছিলেন সিএএ-র সমর্থনে। মিশন বাজার এলাকায় যেতেই সেখানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের নেতৃত্বে ওদের দলের লোকজন আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করে।” ওই দলেই ছিলেন সাধনা ঢালি। তিনি বলেন, ‘‘মিশন বাজারে যেতেই ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলে মাইকেল তার দলবল নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। আমাদের চলে যেতে বলে। প্রতিবাদ করতেই তাপস সাহা এবং কাজল নস্কর নামে আমাদের দুই কর্মীকে রিভলবারের বাট দিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে মারে।”
বিধাননগর পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা মণ্ডল। অভিযোগ তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেই। তাঁকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইকেলের দলবল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ফ্লেক্স লাগানো নিয়ে ধস্তাধস্তি-মারামারি শুরু হয়ে যায়। তিন জন বিজেপি কর্মীকে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনার খবর ছড়াতেই কয়েকশো বিজেপি সমর্থক জমায়েত হন ঘটনাস্থলে। তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পথ অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
আরও পড়ুন: যতই প্রতিবাদ হোক, সিএএ থাকবেই, মমতা-মায়াবতীকে বিতর্কে আহ্বান জানিয়ে হুঙ্কার অমিতের
আরও পড়ুন: বিজেপি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুন, দলের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে নীতীশ
অন্য দিকে মাইকেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শীলা মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তিনি দাবি করেন, ফ্লেক্স লাগানোর সময়ে মিশন বাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তার প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের কর্মীরা।