আগামী ১৯ জানুয়ারি বাংলায় আসার কথা জে পি নাড্ডার। —ফাইল চিত্র।
কুয়াশার কারণে কাটছাঁট হল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার বাংলার কর্মসূচি। আগামী ১৯ জানুয়ারি রাজ্যে আসার কথা নড্ডার। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি মোট দু’টি সভার করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বাদ সাধল কুয়াশা।
ঠিক হয়েছিল আগামী ১৯ জানুয়ারি মোট দু’টি সভা করবেন নড্ডা। একটি হুগলির আরামবাগে। অন্যটি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে সেই কর্মসূচি ছোট হয়ে গেল। বিজেপি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করে শহরে শীত উধাও হয়ে গিয়েছে। সংক্রান্তিতেও সেই ঠান্ডা নেই। তবে জেলায় জেলায় ঘন কুয়াশা দেখা দিয়েছে। অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে রাস্তাঘাট। এই কারণে যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। অন্য দিকে, ১৯ জানুয়ারি দিল্লি থেকে এসে আবার ওই দিনই ফিরে যাওয়ার কথা নড্ডার। সে ক্ষেত্রে কুয়াশা বাধা হতে পারে বলে মনে করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই সফরের সময় কাটছাঁট করে কেবল একটি মাত্র সভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেটি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এলাকায়।
কিন্তু আরামবাগ এবং কৃষ্ণনগরের মধ্যে কেন দ্বিতীয়টি বাছলেন নড্ডা? নেপথ্যে রয়েছে ভোটের ফলাফলের বিষয়টি। এই কৃষ্ণনগর আসনে ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন। তবে সে সময় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির জোট ছিল। পরে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের কাছে পরাজিত হন ৬৩ হাজার ২১৮ ভোটে। তবে তেহট্ট, কৃষ্ণনগর উত্তর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বলছে, কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত সাতটি আসনের মধ্যে কৃষ্ণনগর উত্তরে বড় ব্যবধানে জয় ছাড়া বাকি ছ’টিতে হেরেছে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব আশাবাদী, এখন থেকে সময় দিলে মালদহ দক্ষিণের মতো কৃষ্ণনগর আসনেও ২০২৪ সালে তাঁদের জয় সম্ভব। এ সব ভেবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কৃষ্ণনগরকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন নড্ডা।
অন্য দিকে, আরামবাগে বিজেপির লড়াই অপেক্ষাকৃত সহজ বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। যদিও ২০১৯ সালেও এই আসনে জেতা এক প্রকার নিশ্চিত মনে করেও হারতে হয়েছে বিজেপিকে। তবে হারের ব্যবধান ছিল স্বল্প। তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারের কাছে বিজেপির তপনকুমার রায় হেরে যান মাত্র ১,১৪২ ভোটে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান খুবই কম। তাই প্রথম থেকেই কৃষ্ণনগরের পরে আরামবাগকে রেখেছিলেন নড্ডা।