বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় আলোড়ন। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ছিল। রাজ্য সরকার, সরকারের হাসপাতাল, পুলিশের উপর ভরসা নেই। আদালতের নির্দেশে কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্ত হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’’
রাজ্য বিজেপি অফিস থেকে অর্জুনের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কাশীপুরের তাঁর পৈতৃক ভিটেতে। ইতিমধ্যে বিজেপি অফিসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ।
কাশীপুরের নিহত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ আরজিকর হাসপাতাল থেকে বের করা হতেই বিজেপি রাজ্য অফিসে মিছিলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেখানে নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই তো বলে দিয়েছেন অর্জুন চৌরাসিয়া খুন হয়েছেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত হবে কী ভাবে? কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অভিযোগ, যে হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে, আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতাল তো কেন্দ্রীয় হাসপাতাল। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টও যথাযথ হবে না বলে অভিযোগ করলেন ফিরহাদ।
আরজিকর হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্য বিজেপির অফিসে। মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের মৃত নেতার দেহ। জানালেন কল্যাণ চৌবে। বিজেপি সূত্রে খবর, খোদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থাকতে পারেন ওই মিছিলে।
শনিবার কাশীপুরের ওই ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ক্যামেরা লাগানো হয়েছে অর্জুনের বাড়িতেও। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। অন্য দিকে, হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শনিবার বিকেলেই দাহ হবে দেহ। বিজেপি সূত্রে খবর, তার আগে বিজেপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ।
শুক্রবার রেল কোয়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনার কথা শুনে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দিয়ে এই মৃত্যুরহস্যের তদন্ত হবে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলের নেতাকে খুন করা হয়েছে। তাতে জড়িত শাসক দল। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা তৃণমূল দাবি করে অর্জুন গত পুরভোটের সময় তাদের হয়ে প্রচারের কাজ করেছে।