SSKM Hospital

সুপারিশের পরে ১০ দিনেও শয্যা মেলেনি, সরব বিধায়ক

বিধায়ক জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে চাকদহের বিজেপি নেতা মিলন বিশ্বাসের ব্রেন স্ট্রোক হয়। সরকারি হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় তাঁকে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৩
Share:

এসএসকেএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের শাসকদলের প্রভাবশালী এক প্রশাসকের সুপারিশ রয়েছে। তার পরে ১০ দিন কেটে গেলেও এসএসকেএমের আইসিইউ-তে তাঁর এক পরিচিতের জন্য শয্যা মিলছে না বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপির বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘‘আমি বিধায়ক হয়েও শয্যার ব্যবস্থা করতে পারছি না। তা হলে গরিব মানুষদের কী হবে? অথচ, জেলে থাকা শাসকদলের প্রভাবশালীরা সহজেই শয্যা পেয়ে যাচ্ছেন।’’

Advertisement

বিষয়টি জানতে সোমবার দুপুরে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন ওই বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। কিন্তু অভিযোগ, প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তিনি অধিকর্তা বা সুপারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। দু’জনের অফিস থেকেই দাবি করা হয়, তাঁরা বৈঠকে ব্যস্ত। বিধায়ক জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে চাকদহের বিজেপি নেতা মিলন বিশ্বাসের ব্রেন স্ট্রোক হয়। সরকারি হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় তাঁকে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা বিল হয়ে গিয়েছে। বঙ্কিম বলেন, ‘‘গত ২ ডিসেম্বর বিধানসভায় ওই প্রভাবশালী প্রশাসককে বিষয়টি জানাই। তাঁর সুপারিশ নিয়ে পিজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করি। আশ্বাস দেওয়া হয়, দু’-তিন দিনে ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু ১০ দিন কেটে গেলেও কিছু হয়নি।’’

পিজি কর্তৃপক্ষের দাবি, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আসা রোগীদের জন্য এখন আইসিইউ-এর ৭ থেকে ৮ শতাংশ শয্যা রাখা হয়। রোগীর পরিজনদের আগে আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। সেই মতো ভর্তি নেওয়া হয়। একই ভাবে ওই বিধায়কের পরিচিত রোগীর আবেদনও জমা নেওয়া হয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিধায়কের আবেদন গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। অন্য রোগীকে নামিয়ে দিয়ে তো আর এক জনকে নেওয়া যায় না। আর এই হাসপাতালে সাধারণ বিভাগের রোগী আইসিইউ বা সিসিইউ-তে শয্যা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন, সেটা স্বাভাবিক।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement