সল্টলেকে পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর মিছিল। ছবি- ফেসবুক।
বিজেপি-র মিছিল ঘিরে বিধাননগরে অশান্তি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সল্টলেক পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (ইজেডসিসি)-র দিকে রওনা দেয় একটি মিছিল। সল্টলেকে বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এই মিছিল মাঝপথে আটকায় পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের দিকে এগিয়ে যান শুভেন্দুরা। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, তার পর বাধা পেয়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কমিশনারেটের অফিসের সামনে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পুরভোটের আগে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন।’’
শুভেন্দু বলেন,গত মঙ্গলবার সল্টলেকে বিজেপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আট দিন কেটে যাওয়ার পরও তাদের ধরা হয়নি কেন, পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোড়েন তিনি। বিজেপি বিধায়কের কটাক্ষ, ‘‘৮০০ বিজেপি কর্মীকে আটকাতে দু’হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’’
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বিধাননগরের পুরভোট। বিজেপি-র অভিযোগ, নির্বাচনী আদর্শ বিধি চালু হওয়ার পর তাঁদের প্রচার করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। বারবার তাঁদের উপর হামলা হচ্ছে। এই অভিযোগে সোমবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল শুরু করে বিজেপি। পুলিশ মিছিল আটকালে শুরু হয় অশান্তি। পুলিশের বিরুদ্ধে মাইকিং করে স্লোগান দিতে শুরু করেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিধাননগর পুর নির্বাচনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালানো হয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ। আঙুল তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ, আচমকাই কয়েক জন দুষ্কৃতী জোর করে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাধা দিতে গেলে, তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাদ যাননি মহিলা কর্মীরাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, মারধর করার পাশাপাশি কার্যালয় ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। বিজেপি-র দলীয় পতাকা, প্রচারের জন্য থাকা হোর্ডিং ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা ছাড়া দলের কার্যালয়ে থাকা একাধিক কম্পিউটার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এ পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।