অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
আগামী জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের কথা। শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যাসের মন্দির নির্মাণ কমিটি জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে কোনও শুভমুহূর্তে বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হবে। উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে তার আগেই ‘রামমন্দির’ উদ্বোধন করে ফেলবেন মোদীর ‘ডেপুটি’ অমিত শাহ। কলকাতার দুর্গাপুজোয় রামমন্দিরের আদলে পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনই দাবি কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধনে শাহকে চেয়ে আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা তথা বিজেপি নেতা সজল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই আর্জি মঞ্জুর হয়েছে বলে দাবি সজলের। তাঁর আরও দাবি, পুজোয় আসছেন বিজপির সভাপতি জেপি নড্ডাও। সজল বলেন, ‘‘দ্বিতীয়ার দিন বিকেল ৪টের সময় অমিত শাহ উদ্বোধনে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। তার পরে ষষ্ঠীর দিন নড্ডাজিও আসছেন।’’ সূত্রের খবর, শাহ ১৬ অক্টোবর মেরেকেটে এক ঘণ্টার জন্য কলকাতায় আসবেন। সজলের পুজোর উদ্বোধন করেই ফিরে যাবেন দিল্লি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে তাঁর কলকাতায় আর কোনও কর্মসূচি নেই।
কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে শাহ কলকাতার পুজোয় এসেছিলেন ২০১৯ সালে। সে বার তদানীন্তন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজোয় সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আসা সব্যসাচীর পাশাপাশি তখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ও ছিলেন শাহের সঙ্গে। এর পরে রাজ্য বিজেপির তরফে চাহিদা থাকলেও শাহ পুজোর উদ্বোধনে আসতে পারেননি। গত বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন ‘থিম’ হয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। সে বারেও শাহকে উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইচ্ছাপূরণ হয়নি সজলের। তবে তাঁর দাবিমতো, এ বার ‘সশরীরে’ উদ্বোধনে থাকবেন শাহ। ‘ভার্চুয়াল’ নয়। শেষের বক্তব্যটি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপায়ের প্রতি কটাক্ষ বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন শুরু করছেন মমতা।
আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে রাজ্য জুড়ে দুর্গাপুজোয় দলীয় প্রভাব বৃদ্ধির কথা ভেবেছে বিজেপি। জেলায় জেলায় নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের কোনও না কোনও পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে নিজের নিজের এলাকায় জনসংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভবানীপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের পক্ষে একটি দুর্গাপুজোর হওয়ার কথা রয়েছে এই বছর। সেখানে শাহ আসতে পারেন বলে আগে দাবি করেছিলেন রাজ্য নেতারা। তবে চতুর্থীর সফরে শাহ ভবানীপুরে যাবেন না বলেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খবর।