গ্রাফিক। শৌভিক দেবনাথ।
করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘রেড ভলান্টিয়ার’ নামে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি করেছিল সিপিএম। এখনও অনেক জায়গায় সেই বাহিনী কাজ করছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে একই ভাবে ‘গেরুয়া’ ভলান্টিয়ার বাহিনী বানাতে চলেছে বিজেপি। পোশাকি নাম দেওয়া হচ্ছে ‘হেল্থ ভলান্টিয়ার’। গোটা দেশেই এই কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। দল ঠিক করেছে প্রাথমিক ভাবে মোট চার লক্ষ দলীয় কর্মীকে এ জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই পর্ব মিটে গেলে দেশের দু’লক্ষ গ্রামে শুরু হবে পরিষেবা। এর জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ আসার পরেই স্বেচ্ছাসেবী এমন উদ্যোগ নিয়েছিল সিপিএম। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল ‘রেড ভলান্টিয়ার’ বাহিনী। দলের পক্ষে জানানো হয়েছিল, করোনা রোগীদের পরিষেবা দিতে কাজ করবে এই বাহিনী। এর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোন নম্বর দিয়ে প্রচারও শুরু হয়। বলা হয়, দিন হোক বা রাত— যখনই কোনও প্রয়োজন হবে আক্রান্ত বা তাঁদের বাড়ির লোকজন যেন রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন করেন। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে বাহিনীর সদস্যেরা সেখানে যাবেন যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পরবর্তী কালে ‘রেড ভলান্টিয়ার’-দের অনেক উল্লেখযোগ্য পরিষেবার খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল।
বিজেপি যে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ার কর্মসূচি নিয়েছে, তারও পদ্ধতি এবং লক্ষ্য একই। তবে এর সঙ্গে বাড়তি যুক্ত করা হবে করোনার টিকা নিশ্চিত করার কাজ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও খুব শীঘ্রই এই কর্মসূচি নিয়ে প্রচার শুরু হবে। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু শুক্রবার বলেন, ‘‘করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েও আমাদের কর্মীরা কাজ করেছেন। তবে তখন ঝুঁকি অনেক বেশি ছিল। এখন টিকার সুবিধা মেলায় অনেক বেশি কর্মীকে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো যাবে। সেই লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।’’ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বিজেপি যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক সুবিধাও পেতে চাইছে, তা-ও স্পষ্ট সায়ন্তনের কথায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সব মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু এই রাজ্যে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রং দেখা হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচিতে এটাও দেখা হবে, যাতে সকলের টিকা নিশ্চিত করা যায়। সেই লক্ষ্যেও কাজ করবেন স্বেচ্ছাসেবীরা।’’