উল্টোডাঙা উড়ালপুল থেকে নামার সময়ে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন রঞ্জিত।
মহাষষ্ঠীর সকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার, উল্টোডাঙা উড়ালপুলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রঞ্জিত ঘোষ (২৩)। তিনি গরফা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। আহত হয়েছেন আরও এক যুবক।
পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন সকালে উল্টোডাঙা উড়ালপুল থেকে নামার সময়ে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন রঞ্জিত। বাইকের পিছনের আসনে বসে ছিলেন প্রসাদ ঘরামি নামে এক যুবক। ধাক্কার অভিঘাতে দু’জনেই ছিটকে পড়েন। প্রসাদের পা ভাঙে। তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রঞ্জিতকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রসাদ সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান, দুই যুবক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হবে। বিধাননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগ জানাচ্ছে, বাইকের গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। উল্টোডাঙা উড়ালপুল থেকে নামার সময়ে বাঁকের মুখে রঞ্জিত মোটরবাইকের উপরে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বলেই মনে করছে পুলিশ। তার জেরেই ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে তাঁর মোটরবাইক। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের কাছেই হেলমেট থাকলেও তা মাথায় দেননি কেউই। তাই রাস্তায় ছিটকে পড়ায় রঞ্জিতের মাথায় আঘাত লাগে।
উল্লেখ্য, উল্টোডাঙা উড়ালপুলে বাঁক থাকায় সেখানে গাড়ি বা মোটরবাইকের সর্বোচ্চ গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চালকেরা সেই নিয়মের তোয়াক্কা করেন না বলে অভিযোগ। এর আগেও বিপজ্জনক গতিতে যেতে গিয়ে ওই উড়ালপুল থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল দুই বাইকচালকের।
এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উড়ালপুলের উপরে পড়ে চাপ চাপ রক্ত। পুলিশ জানায়, দুই যুবক প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পুজোর কারণেই দুর্ঘটনার সময়ে সেখানে পুলিশ হাজির ছিল। তবে তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও চালককে বাঁচানো যায়নি।