ব্যতিক্রম বিধাননগর পুর হাসপাতাল

অঘোষিত ‘ছুটি’ চলেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। যার জেরে চিকিৎসা করাতে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে অসংখ্য রোগীকে। এরই মধ্যে সম্পূর্ণ উল্টো ছবি দেখা গেল বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০২:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

এন আর এসে এক জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের প্রতিবাদে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাজ বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকেরা। অঘোষিত ‘ছুটি’ চলেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। যার জেরে চিকিৎসা করাতে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে অসংখ্য রোগীকে। এরই মধ্যে সম্পূর্ণ উল্টো ছবি দেখা গেল বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাত থেকে সেখানে উপচে পড়েছে রোগীর ভিড়। ছবিটা বদলায়নি বুধবারেও। ভিড় সামলাতে আক্ষরিক অর্থেই হিমশিম খেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। সাধারণ ভাবে যেখানে ইন্ডোরে গড়ে ৮০-৯০ জনের চিকিৎসা হয়, সেই জায়গায় ওই রাতেই রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। একই অবস্থা হয়েছে বহির্বিভাগেও। পরিস্থিতি সামলাতে খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরে। সেখান থেকে তিন জন অতিরিক্ত ডাক্তারকে নিয়ে আসা হয়।

প্রশ্ন উঠেছে, অন্য হাসপাতালে পরিষেবা না পাওয়ার জন্যই কি এমন অবস্থা? বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিজনেদের একাংশ জানিয়েছেন, একটি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত তাঁরা জানতে পারেন, এখানে এলে চিকিৎসা মিলবে। তাই তাঁরা ছুটে এসেছেন। হোয়াটসঅ্যাপের কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি আরও কয়েকটি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করা ছিল। যদিও মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, কে বা কারা এমন বার্তা ছড়ালেন, সে সম্পর্কে তাঁরা অন্ধকারে। বিষয়টি সম্পর্কে হাসপাতাল থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ইন্ডোর এবং আউটডোরে রোগীদের ভিড় সামলাতে একযোগে পরিশ্রম করেছেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীরা। জরুরি পরিষেবা তো বটেই, চালু ছিল অন্য পরিষেবাও। তবে সূত্রের খবর, এন আর এসের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সকলে এ দিন কালো ব্যাজ পরে কাজ করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইন্ডোর এবং আউটডোরে রোগীর চাপ বেড়েছে। তাঁর মধ্যেই তাঁরা সাধ্য মতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি বিধাননগর পুরসভার মাতৃসদন, দেশবন্ধুনগর হাসপাতাল এবং বিদ্যাসাগর মাতৃসদনও চালু ছিল এ দিন। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, তিন হাসপাতালেই পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। অন্য দিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা বেশিই হয়েছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement