প্রতীকী ছবি
শহরে আসা পরিযায়ীদের নিয়েই ভয় পাচ্ছে বিধাননগর। করোনার প্রকোপ খানিকটা কমতে বিধাননগর পুর এলাকায় বাজার-দোকান খুলে গিয়েছে, লোকজনও বেরোচ্ছেন। কিন্তু সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্ট ফের উদ্বেগ তৈরি করছে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, এখন বিধাননগরে রোজ ১০-১২ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, সোমবার ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বিধাননগর পুর এলাকার সল্টলেক ও রাজারহাট-গোপালপুরে রোজ অনেকে কলকাতা বা বাইরে থেকে আসেন। রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকার ভিআইপি রোডের দু’ধারে রয়েছে হোটেল, রেস্তরাঁ, হাসপাতাল। রয়েছে বিমানবন্দর। সেখানে নামার পরে অনেকেরই গন্তব্য নিউ টাউন, সল্টলেকের মতো এলাকা। পুর আধিকারিকেরা জানান, এলাকার বড় বাজারগুলিতেও ভিড় হয় যথেষ্ট।
সল্টলেকের করুণাময়ী তল্লাটে রয়েছে বহু সরকারি অফিস। পাঁচ নম্বর সেক্টরে রয়েছে শিল্পতালুক। সেখানে ভিড় চোখে পড়ছে ফুটপাতের খাবারের দোকানে। দূরত্ব-বিধি শিকেয় উঠছে। অনেক বাড়িতেই গেস্ট হাউস, স্পা-সহ বিভিন্ন ব্যবসা চলে। ফলে সেখানকার বাসিন্দারাও বাইরের লোকের সংস্পর্শে আসেন। বহু বাড়িতেই পরিচারক-পরিচারিকারা আসেন শহরতলি থেকে। পুর আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, পরিচারক-পরিচারিকাদের প্রতিষেধক দেওয়ার উদ্যোগ কম। তাই পুরসভা তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ায় জোর দিয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিধাননগরের সর্বত্র সব সময়ে নজরদারি সম্ভব নয়। তার মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে ভিড় উপচে পড়ছে। দ্রুত বেশি প্রতিষেধক দেওয়ার উপরে জোর দিচ্ছি।’’ যদিও পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর এখনও কোনও রিপোর্ট পাঠায়নি। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। বিধি মেনেই সবর্ত্র করোনা মোকাবিলার কাজ চলছে।’’