ফাইল চিত্র।
বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে দুর্ঘটনা কমাতে এ বার ভোর পর্যন্ত নিউ টাউনের রাস্তায় নেমে টহলদারি শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ।
গত কয়েক মাসে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায়। সম্প্রতি নিউ টাউনের সৃষ্টি মোড়ে এক ভোরবেলা গাড়ি দুর্ঘটনায় তিন তরুণের মৃত্যু হয়। এই ধরনের একাধিক ঘটনার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রবণতা কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। পাশাপাশি, রাস্তা ফাঁকা পেলে প্রবল বেশি গতিতে যেতে গিয়েও ঘটছে দুর্ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মাঝরাত থেকে ভোরের মধ্যে ইদানীং বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই নিউ টাউনে এখন গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গত অগস্ট থেকে বাগুইআটি, বিমানবন্দর, রাজারহাট, নিউ টাউন ও সল্টলেকে কমবেশি ২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩৫ জন।
নিউ টাউনের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সেখানে ভোরের দিকে পুলিশি নজরদারি তুলনায় কম থাকে। সেই কারণে গাড়ির গতিও বেড়ে যায়। যা প্রায়ই ডেকে আনে দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনা ঠেকাতে সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই গাড়ি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবং তা চলছে ভোর পর্যন্ত। পাশাপাশি, লেনের বিভাজন এবং রাস্তা পারাপারের জন্য বসানো হয়েছে সৌর আলো।
পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় রাশ টানতে নজরদারির পাশাপাশি স্পিড ব্রেকার এবং গার্ড রেলও বসানো হচ্ছে। সিসি টিভিতেও বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। তা ছাড়া, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজে গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন পানশালার আশপাশেও নজর রাখা হচ্ছে।
কর্মসূত্রে নিউ টাউনে যাওয়া মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা স্বপন রায় জানান, নারকেলবাগান-সহ কয়েকটি মোড়ে রাতে রাস্তা পার হওয়াটা খুব ঝুঁকির। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপম বসু জানান, শুধু বিশ্ব বাংলা সরণিই নয়, ব্লকের ভিতরের পথই হোক বা ইউনিটেক থেকে আকন্দকেশরী যাওয়ার রাস্তা— বেপরোয়া গাড়ি চলাচল করছে প্রায় সর্বত্রই।
‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আকাঙ্ক্ষা মোড়ে সাবওয়ে তৈরি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সাবওয়ে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।