ফাইল চিত্র।
ই এম বাইপাসের চিংড়িঘাটায় সীমানা চিহ্নিত করতে মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু করল বিধাননগর পুলিশ। সূত্রের খবর, এক মাসের মধ্যেই চিংড়িঘাটায় কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশের সীমানা নির্ধারণ করে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কথা। তার পরেই বাইপাসের উপরে চিংড়িঘাটার অংশটি পাকাপাকি ভাবে কলকাতা পুলিশের অধীনে চলে আসতে পারে।
বেলেঘাটার বিল্ডিং মোড় ও সল্টলেকের জলবায়ু বিহারের সংযোগস্থলের ফুটব্রিজ থেকে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ওঠার আগের খানিকটা অংশ পর্যন্ত ১৩০ মিটার এলাকা নিয়ে কলকাতা ও বিধাননগর, দু’দিকের পুলিশের মধ্যে জটিলতা দীর্ঘ দিনের। সূত্রের খবর, ওই ১৩০ মিটার অংশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশের। আর ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের। কিন্তু কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় অনেক সময়েই বিধাননগর পুলিশের ঘাড়ে চলে আসে বলে অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের।
মাসকয়েক আগে চিংড়িঘাটায় গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দু’দিকের পুলিশের মধ্যে দায় ঠেলাঠেলির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি নির্দেশ দেন,চিংড়িঘাটার পথ নিরাপত্তার দায়িত্ব কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশকে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে সামলাতে হবে। পরে সরকারি স্তরে ঠিক হয়, ওই ১৩০ মিটার অংশের ট্র্যাফিক ও আইনশৃঙ্খলা— দুইয়ের দায়িত্বই কলকাতা পুলিশকেদেওয়া হবে।
বিধাননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, বর্তমানে সীমানা নির্ধারণের মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজে যুক্ত করা হয়েছে বিধাননগর পুরসভাকেও। চিংড়িঘাটার ওই জায়গায় এখন রোজই পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকেরা ঘুরে ঘুরে জমির দাগ নম্বর-সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন।
কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলেই কলকাতা পুলিশ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণেরপাশাপাশি চিংড়িঘাটার ওই অংশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজও শুরু করে দেবে।’’ কলকাতাপুলিশ সূত্রের দাবি, বর্তমানে চিংড়িঘাটার ওই ১৩০ মিটার অংশে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ড। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলারক্ষার কাজের ক্ষেত্রে ওই জায়গাটি কোন কোন থানা এলাকার মধ্যে কতটা করে ঢুকবে, তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
বিধাননগরের এক পুলিশ আধিকারিক জানালেন, ফুটওভারব্রিজ থেকে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল পর্যন্ত ওই অংশে অনেকগুলি মৌজার জমি রয়েছে। সেই জন্য দাগ নম্বর ধরে জমিগুলি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। জমিগুলি চিহ্নিত করতে পারলেই ওই ১৩০ মিটার অংশ কতগুলি থানার মধ্যে ঢুকবে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তার পরেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কথা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।