বিধাননগর কমিশনারেট।—ফাইল চিত্র।
হুগলির স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনায় এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে নড়ে বসেছে পুলিশ ও প্রশাসন। নিয়ম মেনে যাতে স্কুলগাড়ি চালানো হয়, তা নিয়ে চালক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ। ব্যতিক্রম হল না বিধাননগরেও। রবিবার বিধাননগর পুলিশ বৈঠক করে গাড়িচালক ও মালিকদের সঙ্গে।
যদিও অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, দুর্ঘটনা ঘটার পরে কিছু দিন চলে কড়া পুলিশি নজরদারি। পরে সব থিতিয়ে যায়। তাই স্কুল কমিটি, অভিভাবকদের প্রতিনিধি-সহ সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা প্রয়োজন। পুলিশ জানায়, সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সচেতনতার প্রচার চালানো হবে। কী কী করা যাবে ও যাবে না, স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে চালক ও মালিকদের।
অতিরিক্ত পড়ুয়া তোলা, বেপরোয়া গতিতে চলা-সহ যে সব অভিযোগ ওঠে স্কুলগাড়ি সম্পর্কে, বৈঠকে সেগুলি চালক ও মালিকদের কাছে তুলে ধরে পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয়, শংসাপত্রের প্রতিলিপি থাকতে হবে গাড়িতে। অতিরিক্ত পড়ুয়া তোলা যাবে না। চালক শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন কি না, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে মালিকদের। গাড়িতে রাখতে হবে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম ও অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র। সেই যন্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে চালকের। কোনও ব্যক্তিগত গাড়িকে স্কুলগাড়ি হিসেবে চালানো যাবে না। গাড়ির অবস্থা কেমন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার পরীক্ষা করতে হবে এবং সেই তথ্য পুলিশকে জানাতে হবে। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নাম ও ফোন নম্বর থাকতে হবে গাড়িতে।
স্কুলগাড়ির চালক ও মালিকদের একাংশের বক্তব্য, বেশ কিছু নিয়ম বলবৎ করতে গেলে যতটা বিনিয়োগের প্রয়োজন, তাতে ভাড়াও বাড়াতে হবে। কিন্তু বেশি ভাড়া দিতে অনেক সময়ে রাজি হন না অভিভাবকেরা।
বিধাননগরের এক ট্র্যাফিক কর্তা জানান, স্কুলগাড়ির মালিক ও চালকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পর্যায়ক্রমে স্কুল কমিটি ও অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।