সারমেয় সমস্যায় ধন্দে বিধাননগর

এক দিকে, বাসিন্দাদের একাংশ একের পর এক অভিযোগ জানাচ্ছেন। অন্য দিকে, সারমেয় নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান চাইছেন বাসিন্দাদের অন্য অংশ। সারমেয়র নির্বীজকরণ প্রকল্প শুরু করে সমস্যার সমাধানের পথও পেয়েছিল বিধাননগর পুরসভা।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ১২:০০
Share:

আগ্রাসী: সারমেয়কুলের তাণ্ডবে সঙ্কটে বিধাননগর। —নিজস্ব চিত্র

সারমেয় নিয়ে মহাসঙ্কটে পড়েছে বিধাননগর পুরসভা। এ যেন যেতেও কাটে, আসতেও কাটে। ফলে এ বারেও অধরা সমাধান।

Advertisement

এক দিকে, বাসিন্দাদের একাংশ একের পর এক অভিযোগ জানাচ্ছেন। অন্য দিকে, সারমেয় নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান চাইছেন বাসিন্দাদের অন্য অংশ। সারমেয়র নির্বীজকরণ প্রকল্প শুরু করে সমস্যার সমাধানের পথও পেয়েছিল বিধাননগর পুরসভা। কিন্তু তা বাস্তবায়নেই হোঁচট খাচ্ছে পুরসভা।

পুরকর্তাদের একটি অংশের দাবি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে সারমেয়র নির্বীজকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কুকুর পিছু নির্বীজকরণে খরচ পড়বে প্রায় ২৬০০ টাকা। পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকার প্রায় ছ’হাজার কুকুর রয়েছে। ফলে নির্বীজকরণের কাজে কয়েক কোটি টাকা প্রয়োজন। খরচের এই বহরেই মাথায় হাত পড়ছে পুর কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

বিধাননগর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রতিটি ব্লকে কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। বাড়ছে কুকুর কামড়ানোর ঘটনা। সমস্যা মেটাতে তাঁরা পুরসভার কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন। সম্প্রতি মেয়র সব্যসাচী দত্তের ওয়ার্ডের একটি ব্লক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পুরসভার কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। অভিযোগ, প্রশাসন নীরব। বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের কর্মকর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘কুকুরের সমস্যা বহু দিনের। সব পক্ষের মতামত নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করুক পুরসভা।’’

পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, নির্বীজকরণ প্রক্রিয়ার বিপুল খরচের পাশাপাশি অন্য একটি সমস্যাও উঠে আসছে। সারমেয়র নির্বীজকরণ করতে গেলেই বাসিন্দাদের একাংশ প্রতিবাদ করছেন। ফলে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না পুরসভা।
মেয়র পরিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। কুকুর নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। তবে কিছু সমস্যা তো অবশ্যই আছে। অনেকে আপত্তি জানাচ্ছেন। তবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।’’

মেয়র বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে আলোচনা চলছে। বাসিন্দাদের একাংশ পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরসভা পদক্ষেপ করতে গেলে আবার বাসিন্দাদের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কুকুরের নির্বীজকরণের ব্যয় বিপুল। ফলে সব দিক খতিয়ে দেখে সমাধানের পথ খুঁজছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement