বিধাননগর পুরসভা।
পুর নির্বাচনের এক বছর আগে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় ভূর্গভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে একটি বেসরকারি সংস্থাকে রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থা রিপোর্ট তৈরি করলে আর্থিক সহায়তার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হবে বিধাননগর পুরসভা। রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলে শুরু হবে কাজ।
এমন পরিকল্পনা মাত্র এক বছরের মধ্যে কী ভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে অবশ্য সংশয়ে রয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগেই টেন্ডার ডেকে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হলে ওই পরিকল্পনা কার্যকরী করতে উদ্যোগী হবে পুরসভা।
কিন্তু সেই ব্যবস্থা দিয়ে সার্বিক ভাবে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে যে জল জমার সমস্যা মেটানো যাবে না তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।
সাবেক রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা, বিধাননগর পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকার কিছু অংশ একত্রিত করে বিধাননগর কর্পোরেশন তৈরি হয়েছিল চার বছর আগে। রাজারহাট-গোপালপুরের মতো অনুন্নত এলাকার উন্নয়ন করে ওই জায়গাকে সল্টলেকের মতো উন্নত করে তোলার লক্ষ্যেই কর্পোরেশন তৈরি হয়।
বাসিন্দারা জানান রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা অনেক দিনের। অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে অনেক জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। বর্ষাকালে দিনের পর দিন জমা জলের মধ্যে বসবাসের যন্ত্রণা সেখানে দীর্ঘ কয়েক দশকের সমস্যা। কর্পোরেশন তৈরির পরে প্রথম পুরবোর্ড এই নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চার বছরেও সেই সমস্যার পর্যাপ্ত সমাধান ঘটেনি বলেই বাসিন্দাদের অভিযোগ।
পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করে কয়েকটি ওয়ার্ডে ভূ-গর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি বুষ্টিং পাম্পিং স্টেশনও গড়ে তোলা হয়েছে।
মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস জানা জানান, প্রতিশ্রুতি মতোই প্রথম থেকে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে সচেষ্ট ছিল পুরসভা। তিনি আরও জানান, পুরসভার নিজের খরচেই নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২৭টি ওয়ার্ডে সেই কাজ করার খরচ বিপুল। তাই একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ২৭টি ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা গড়তে একটি বিস্তারিত খসড়া রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে আর্থিক ব্যয় জানা যাবে। সেই মোতাবেক রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো কাজ করা হবে।