ফাইল চিত্র।
এ বছরের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা চলাকালীন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অনেকেই কাপড়ের কিংবা চটের ব্যাগ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তা-ও পুরোপুরি প্লাস্টিকমুক্ত হয়নি বইমেলা চত্বর। মেলা চলাকালীন তেমনই অভিযোগ ছিল মেলা কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বইপ্রেমীদের।
বইমেলা শেষ হওয়ার পরে মাঠ সাফাইকাজ শুরু করেছে বিধাননগর পুরসভা। আর সে কাজ করতে গিয়েই মাঠ এবং সেখানে রাখা একাধিক আবর্জনার পাত্র থেকে উদ্ধার হয়েছে অসংখ্য প্লাস্টিক। এক পুর কর্তা জানান, সাফাইকাজ শুরু হয়েছে। তবে প্লাস্টিকের পরিমাণ কম নয়। তবে সেই পরিমাণ ঠিক কত, তা এ দিনই জানাতে পারেনি পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ বার শুরু থেকেই বইমেলাকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে জোর দিয়েছিল পুর প্রশাসন। কিন্তু স্টলের ফ্লেক্স হোক বা ব্যানার, জল সরবরাহের পাউচ হোক বা বইয়ের ক্যারিব্যাগ, প্লাস্টিক যে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায়নি, তা মেনে নিচ্ছেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানান, এ বছর বইমেলাকে পুরোপুরি প্লাস্টিকমুক্ত করা যায়নি। তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার আগের থেকে অনেক কমেছে। প্রকাশক ও বইপ্রেমীরাও কিছুটা সচেতন হয়েছেন। ভবিষ্যতে বইমেলা প্লাস্টিকমুক্ত করতে আরও জোর দেওয়া হবে।
তবে অন্য বছর মেলা শেষে যত প্লাস্টিক উদ্ধার হত, এ বারে সেই পরিমাণ অনেকটাই কম বলে দাবি বইমেলা কর্তৃপক্ষের।