ফাইল চিত্র।
পুজো মিটতেই বিধাননগর পুর এলাকায় বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মৃত্যুও হয়েছে। পুরসভার তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ৯৮৬ জন জ্বর ও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। বাগুইআটির পার্থনগরীতে মারা গিয়েছেন দুই মহিলা। প্রথম থেকেই বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ অভিযোগ করছিলেন, সব দেখেও হাত গুটিয়ে রয়েছে পুর প্রশাসন। মশা দমনে তৎপরতার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
কার্যত সেই অভিযোগের জবাব দিতে এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ নিয়ে জনমত গঠনে অবশেষে বাসিন্দাদের নিয়ে পথে নামল পুরসভা। রবিবার সকাল থেকে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার প্রচার, এলাকা সাফাইয়ের কাজ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন একাধিক ক্লাব সংগঠনের প্রায় ১২০০ সদস্য। ছিলেন মেয়র পারিষদ প্রণয় রায়, রহিমা বিবি (মণ্ডল), দেবরাজ চক্রবর্তী-সহ একাধিক কাউন্সিলরও।
প্রশ্ন উঠেছে, এত পরে পুরসভার টনক নড়ল কেন? যদিও ডেপুটি মেয়রের দাবি, বছরের গোড়া থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা প্রসারে সক্রিয় পুর কর্তৃপক্ষ। তবে নভেম্বরেও যে রোগের প্রকোপ থাকতে পারে, তা আগাম আন্দাজ করা যায়নি। তবুও চেষ্টা চালাচ্ছে পুরসভা। উন্নত এবং পিছিয়ে পড়া, উভয় এলাকায় কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে। সেই খামতি দূর করতেই বাসিন্দাদের নিয়ে পথে নামার এমন উদ্যোগ।
ডেপুটি মেয়র তাপসবাবু ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। এ দিন তাঁর ওয়ার্ডে ব্লিচিং ছড়ানো হয়। বাসিন্দাদের দেওয়া হয় মশা তাড়ানোর ব্যাট। বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়। তাপসবাবু জানান, ফাঁকা জমি সাফাইয়ের জন্য মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে নর্দমা পরিষ্কার এবং আবর্জনা সাফাইয়ে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, আগেই এমন পদক্ষেপ করলে আরও ভাল কাজ হত। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, অনেকে পুরকর্মীদের কথায় গুরুত্ব দেন না। কেউ কেউ আবার তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে পর্যন্ত দেন না পুরকর্মীদের। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় আবাসিক সমিতি বা ক্লাব সংগঠনকে নিয়ে এই কাজ করলে সাড়া বেশি পাওয়া যায়। তবে শুধু একটি ওয়ার্ডে নয়, সব ওয়ার্ডেই এমন কাজ করা প্রয়োজন।