প্রতীকী ছবি।
আজ, শুক্রবার থেকে শুরু ছটপুজো। আদালতের নির্দেশ মেনেই নিউ টাউন এবং বিধাননগরে পুজোর যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। দুই এলাকাতেই জলদূষণ ঠেকাতে এবং বাজি পোড়ানো রুখতে সচেতনতার প্রচার চলছে। এ সবে নজরদারি চালাতে পাশাপাশি পুলিশি ব্যবস্থাও থাকছে।
ছটপুজোর জন্য সেজে উঠেছে বিধাননগরের উপাসনা ঘাট। ফুল-মালা, পুজোর জিনিস যাতে জলে ফেলা না হয়, সে নিয়ে আবেদন করছে প্রশাসন। পাশাপাশি জলে বিপর্যয় ঘটলে তা সামলানোর মতো পরিকাঠামো মজুত থাকছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। হিডকোর এক কর্তা বলেন, ‘‘শারদোৎসবে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে দূষণ রুখতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও তাই বলবৎ থাকছে। যাঁরা ছটপুজো করতে আসবেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, ফুল-মালা ও অন্যান্য দ্রব্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। জলে নয়, সেখানেই ফেলুন। দ্রুত সেই সব সরিয়েও ফেলা হবে। নজর রাখতে ঘাটে থাকবেন আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা।’’
নিউ টাউনের পাশাপাশি বিধাননগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একাধিক ছোটবড় জলাশয়ে ছটপুজোর প্রস্তুতি সেরেছে পুর প্রশাসন। বিধাননগরের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, আদালতের নির্দেশ ও সরকারি বিধি মেনেই কাজ হবে। ছটপুজোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার কৃত্রিম ভাবে জল বেঁধে রেখে পুজো করছেন। সে ক্ষেত্রে পুরসভা তাঁদের জল সরবরাহ করে সহযোগিতা করবে।
বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর নির্মল দত্ত জানান, দত্তাবাদ এলাকায় একটি বড় জলাশয়ে ছটপুজোর ব্যবস্থা হয়েছে। ফুল-মালা, পুজোর দ্রব্য জলাশয়ে ফেলা যাবে না। জলে থাকা একাধিক নৌকায় সেই সব ফেলতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পুজোস্থলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সকলের কাছেই বিধি মেনে পুজোর আবেদন করা হয়েছে। এ জন্য মানুষকে সতর্ক করতে প্রচার চলেছে বলে দাবি তাঁর। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই জলাশয় বাইপাস সংলগ্ন। তাই পুজো দিতে আসা ভক্তদের গাড়ি মাঠে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজারহাট-গোপালপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছোটবড় জলাশয়ে পুজো হবে। আদালতের নির্দেশ এবং সরকারি বিধি মেনে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মাস্ক পরা ও দূরত্ব মানা-সহ বিভিন্ন বিধি যাতে সকলে মানেন, সে দিকেও দৃষ্টি থাকবে প্রশাসনের।