বিপজ্জনক: শহরে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। তার মধ্যেই ঝোপজঙ্গল হয়ে থাকার পাশাপাশি জমে রযেছে জল। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
বিধাননগর পুরসভা সংলগ্ন বাঙুর এলাকায় গত শুক্রবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। তার পরেই নড়ে বসেছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও তাঁদের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির মোকাবিলায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের আরও বক্তব্য, সবার আগে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। গত বছর বিধাননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ জনের। চলতি বছরে ইতিমধ্যে সেখানে ৬৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।
বিধাননগর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এ বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিত্যক্ত জিনিস যতটা সম্ভব সংগ্রহ করে আনছেন পুরকর্মীরা। যাতে সেই সবের ভিতরে জল জমে ডেঙ্গির বাহক মশা জন্ম নিতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। একই সঙ্গে আবাসিক বাড়িগুলিতে ফোন করে চত্বর পরিষ্কার রাখা এবং কোথাও জল জমে থাকতে না দেওয়ার বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বিধাননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, আগামী অগস্টেই গত বছরের মতো ড্রোন উড়িয়ে আবাসিক বাড়িগুলির ছাদে জল জমে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে কি না, তার খোঁজ করা হবে। প্রতি বছরই বিভিন্ন বাড়ি থেকে মশার লার্ভা মেলে। সব ক্ষেত্রেই এর পিছনে সংশ্লিষ্ট আবাসিকদের ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার অভাব প্রকাশ্যে আসে বলেই পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। অথচ কোনও বারেই কাউকে জরিমানা করা হয় না। প্রশ্ন উঠছে, এমনটা কেন হয়? সে বিষয়টি নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিধাননগর পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁদের জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে, তাঁদের জমি পরিষ্কার করার নির্দেশ দিতে। তা না হলে পুরসভাই সেই জমি পরিষ্কার করে তার খরচ সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে পাঠিয়ে দেবে। সেই কাজ শুরু করা হয়েছে বলে বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।