প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। শতাব্দী সাহা (৩৪) নামে ওই তরুণী বাগুইআটির জোড়ামন্দির গৌতমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তরুণীর স্বামী সঞ্জয় সাহা জানান, গত বুধবার জ্বর হওয়ায় বৃহস্পতিবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাতে শতাব্দীর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। শুক্রবার তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেলের পরে মৃত্যু হয় শতাব্দীর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি এনএস১ রিঅ্যাক্টিভ হেমারেজ ও ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের উল্লেখ করা হয়েছে।
ডেঙ্গিতে ওই তরুণীর মৃত্যুর খবরে সোমবার চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সঞ্জয় জানান, বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রীর প্লেটলেট ছিল ২ লক্ষ ৬৬ হাজার। শনিবার তা নেমে যায় ৭০ হাজারে। রবিবার প্লেটলেট নেমে যায় ৩৫ হাজারের নীচে। এ দিন দুপুরের পরে অবস্থার অবনতি হয় তরুণীর। বিকেলের পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির আশপাশে অনেকের ডেঙ্গি হয়েছে। তার পরেও এলাকা ঠিক ভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। তবে বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রণয় রায় রাতে জানান, এক তরুণীর মৃত্যুর খবর এসেছে। ডেঙ্গির কারণেই এই মৃত্যু কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
পুর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন, অক্টোবর মাসে বিধাননগরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি। নভেম্বরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৭-এ। প্রণয়বাবু জানান, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ৯ সদস্যের টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। পুর এলাকার ছ’টি বরোর জন্য তৈরি হয়েছে ছ’টি র্যাপিড অ্যাকশন টিমও। আগামী ১২ তারিখ থেকে তারা কাজ শুরু করবে। টাস্ক ফোর্সে প্রণয়বাবু, পুর কমিশনার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ বিভিন্ন আধিকারিকেরা থাকছেন। র্যাপিড অ্যাকশন টিমকে সাহায্য করবে স্বাস্থ্যকর্মীদের দল। দু’টি দল সমন্বয় করে প্রতিটি ওয়ার্ডের উপরে নজর রাখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।