—প্রতীকী ছবি
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটি-বোঝাই একটি লরি ধাক্কা মেরেছিল পথচলতি একটি সাইকেলে। আর তাতেই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন ওই সাইকেলের আরোহী। বুধবার, নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ-২ পঞ্চায়েতের খড়কি এলাকায় এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজু মুন্ডা (১৮)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতের বোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা রাজু আরও দু’জনের সঙ্গে সাইকেলে চেপে হাড়িপোঁতায় যাচ্ছিলেন। আচমকা পিছন থেকে একটি মাটি-বোঝাই লরি ওই সাইকেলে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে সাইকেল-সহ লরির চাকায় পিষ্ট হন রাজু। তার পরে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পুকুরে গিয়ে পড়ে। রাজুর সহযোগী সুদীপ মুন্ডা বলেন, ‘‘আমরা তিন জন একসঙ্গে যাচ্ছিলাম। আচমকা লরিটি ধাক্কা মারে। সাইকেল-সহ রাজু লরির চাকায় পিষে যায়।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই মাটি-বোঝাই লরি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এ দিন এই দুর্ঘটনার পরে তাই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাজুর মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বেশ কিছু নিচু জমি রয়েছে, যা মাটি ফেলে ভরাট করার কাজ করা হয়। আর সেই কারণে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ওই এলাকায় মাটি-বোঝাই লরি চলাচল করে। কিন্তু অভিযোগ, কোনও পুলিশি নজরদারি না থাকায় বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে সেই সব লরি।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালেও খেয়াদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়নালায় একটি গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় লরি চলাচলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার কর্তারা।