ফাইল চিত্র।
ভবানীপুরের জোড়া খুন-কাণ্ডে গুলি চালিয়েছিল শুক্রবার গ্রেফতারহওয়া সন্তোষকুমার পাতি ওরফে রাহুল। রবিবার পুলিশ সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গেই জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনার আরও বেশ কিছু দিক। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। সন্তোষকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত সোমবার ভবানীপুর থানা এলাকার হরিশ মুখার্জি রোডেরএকটি বাড়িতে খুন হন গুজরাতি দম্পতি অশোক এবং রশ্মিতা শাহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই খুনের ঘটনায় পরিচিত কারও যোগ রয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সুবোধকুমার সিংহ, যতীন মেহতা এবং রত্নাকর নাথ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে শুক্রবার ভিন্ রাজ্য থেকে ধরা হয় বিশাল অরোরা এবং সন্তোষকে। এর পরে সকলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় পুলিশজানতে পারে, খুনের দিন দম্পতির পরিচিত মূল অভিযুক্তের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সুবোধ, বিশাল ও সন্তোষ। পুলিশের দাবি, গুলি চালিয়েছিল সন্তোষই। বন্দুকটি অবশ্য জোগাড় করেছিল সুবোধ। এর পরে সেটি যতীনের বাড়িতে রাখা ছিল। তবে ঘটনার দিন যতীন ঘটনাস্থলে যায়নি।
পুলিশ আরও জেনেছে, প্রায় এক মাস ধরে যতীনেরবাড়িতে বসেই খুনের যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। জোড়া খুনের পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছিল মূল অভিযুক্ত। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এর পরে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাওড়া স্টেশনের কাছে যায়। যতীনইতাকে মোটরবাইকে সেই পর্যন্ত ছেড়ে এসেছিল। যদিও মূল অভিযুক্ত ট্রেন না ধরে বিহারে যাওয়ার বাসে ওঠে। কিন্তু সে কোথায় নেমেছে,তা নিয়ে তদন্তকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ফেরার হওয়ার পর থেকেই মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছেওই মূল অভিযুক্ত। এটিএম কার্ডও ব্যবহার করছে না সে। তাই তার সন্ধান পেতে সময় লাগছে। ওই তদন্তকারীর দাবি, ভিন্ রাজ্যের এক জায়গায় ওই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করাগিয়েছে। দ্রুত তাকে ধরা হবে। যদিও ঘটনার পরে সপ্তাহ ঘুরতে চললেও মূল অভিযুক্তকে ধরতে না পারার কারণে পুলিশের উপরে চাপ তৈরি হচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।