যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (বাঁ দিকে) এবং ভাস্কর গুপ্ত। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন ভাস্কর গুপ্ত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দফতর অরবিন্দ ভবনে যান তিনি। তার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব বুঝে নেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের সুপারিশ মেনে যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে মনোনীত করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্ধ্যায় ভাস্কর দায়িত্ব নিয়েছেন। রাজ্যের তালিকা মেনে ভাস্করকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য করায় রাজ্যপাল তথা আচার্যকে অভিনন্দন জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিগত দিনে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। ব্রাত্যের সঙ্গে রাজভবনের তিক্ত বাক্য বিনিময়েরও সাক্ষী থাকে রাজ্য। এই আবহে সোমবার সেই বিরোধ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।
গত বছর যাদবপুরের গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে একক সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের চেয়ারে বসিয়েও ডিসেম্বরে সমাবর্তনের আগের রাতে অপসারণ করেন রাজ্যপাল। সেই থেকে ওই পদটি ফাঁকা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শূন্য থাকা উপাচার্য পদগুলি পূরণের লক্ষ্যে গত শনিবার রাজ্য সরকারের তালিকায় থাকা শিক্ষাবিদদের রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ভাস্কর ছিলেন। রাজভবন সূত্রের খবর, তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। সোমবার বিকেলে ভাস্করকে রাজভবনে আবার ডাকা হয়। সেখানেই রাজ্যপাল যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সরকার আসার পরে ভাস্কর রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন।
ভাস্করকে নিয়োগের কথা জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যাতেই রাজভবনের তরফে তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়। তার পর এক্সে পোস্ট করেন ব্রাত্যও। শিক্ষামন্ত্রী লেখেন, “যাদবপুরের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তের নাম মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে উচ্চশিক্ষা দফতরই সুপারিশ করেছিল। আশা করা যায়, আচার্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও রাজ্য সরকারের সুপারিশমাফিক উপাচার্যদের নিয়োগ করবেন। সুবুদ্ধির উদয়ের জন্য আমি মাননীয় আচার্যকে অভিনন্দন জানাই।’’ শিক্ষামন্ত্রী ভাস্করকেও অভিনন্দন জানান।