ফাইল চিত্র
ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার হাওড়ার বাঁকড়া এলাকার রাজীবপল্লিতে গিয়ে তিন অভিযুক্তের বাড়িতে নোটিস দিল সিবিআই। তিন জনকেই আজ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে দেখা করতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার রাজীবপল্লি থেকে ছ’জন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কলকাতার সদর দফতরে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে জেল হেফাজত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকদের ১০ জনের একটি দল রাজীবপল্লিতে পৌঁছয়। সঙ্গে ছিল বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ। তদন্তকারীরা এলাকার বাসিন্দা রাকেশ রাই, তিলক সাঁতরা এবং রিন্টু অধিকারীর বাড়িতে নোটিস দেন। আর এক অভিযুক্তের বাড়িতে নোটিস দিতে গেলে তাঁর মা তা নিতে অস্বীকার করেন। জ্যোৎস্না সামন্ত নামে ওই মহিলার অভিযোগ, ‘‘অচেনা লোক দেখে আমি কোল্যাপসিবল গেটের তালা খুলিনি। সিবিআই তালা ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু ভাঙতে না পারায় শেষে ওরা চলে যায়।’’
প্রসঙ্গত, গত ২ মে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাঁকড়ার রাজীবপল্লি এলাকা। বিজেপি অভিযোগ তোলে, তার পর থেকেই ওই এলাকায় তাদের কর্মী–সমর্থকেরা ঘরছাড়া। তদন্তভার গ্রহণ করার পরে সিবিআই আধিকারিকেরা আগে রাজীবপল্লিতে গিয়ে আক্রান্তদের বয়ান রেকর্ড করেন। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার এলাকায় সিবিআই পৌঁছনোয় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, গত ৩ মে ওই ঘটনা ঘটার তিন মাস পরে যে ব্যক্তি এলাকায় ঢুকেছেন, তাঁর নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির কথামতো যাকে খুশি তুলে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এমনকি, এ দিন একটি বাড়িতে ঢুকতে না পেরে সিবিআই তালা ভাঙার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ।
ওই এলাকার এক বাসিন্দা মৌমিতা সামন্ত বলেন, ‘‘সিবিআই বিজেপির কথায় চলছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে এই কাজ করানো হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না।’’