ছবি: সংগৃহীত
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দুর্গাপুজোর আগেই। এ বছর পুজো অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হাওড়ার প্রতিটি দুর্গাপুজোর কর্মকর্তা, শিল্পী, পুরোহিত ও মিস্ত্রিদের প্রতিষেধক দিতে চায় পুরসভা। মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকায় ঠিক হয়েছে, এই সময়ে মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সংক্রমণ অনেকটাই কমে এসেছে হাওড়ায়। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভেবে দ্রুত হারে প্রতিষেধক দেওয়ার উপরেই জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। জেলায় প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আরও ঠিক হয়েছে, নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ দু’-এক দিনের মধ্যেই শেষ করে ফেলা হবে।
পরিবহণকর্মী, হকার বা দোকানদার— যাঁদের জীবিকার স্বার্থে প্রতিদিন বহু মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, তাঁদেরই ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। হাওড়ায় এই কাজ প্রায় শেষের পথে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ আরও দ্রুত এগোতে এ দিনের বৈঠকের পরে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপবাবু বলেন, ‘‘তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই অধিকাংশ মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়ে যাবে। পুজোর কর্মকর্তা, প্রতিমা শিল্পী, পুরোহিত ও ইলেক্ট্রিশিয়ানদের আগেই প্রতিষেধক দিয়ে দেওয়া হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আগামী ক’দিন রাজ্যের তরফে হাওড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিষেধক পাঠানো হবে বলে খবর। এ নিয়ে প্রাথমিক আশ্বাস পেয়েই দিনে ২০ হাজার মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়ায় সুপার স্প্রেডার গ্রুপের মধ্যে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষকে ধরা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশের প্রথম ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখনও বাকি প্রায় ৬০ হাজার। ক’দিনের মধ্যেই তাঁদের প্রতিষেধক দিয়ে দেওয়া হবে।’’