Kolkata Encroachers Eviction

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার আগে চলল শহর জুড়ে উচ্ছেদ

বৃহস্পতিবার সকালে যদুবাবুর বাজারে গিয়ে দেখা গেল, ফুটপাতের দোকানের অধিকাংশ কাঠামোর ত্রিপল খোলা হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের সময় না দিয়েই আগের রাতে পুলিশ স্টলের ত্রিপল ছিঁড়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ০৬:২৬
Share:

গত দু’দিনের হকার উচ্ছেদ অভিযানের পর ফাঁকা নিউ মার্কেট চত্বর। ছবিঃ দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

আপাতত হকার উচ্ছেদ নয়। নবান্নের সভাঘর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এক মাস সমীক্ষা করে বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা করবে সরকার। সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে ব্যবস্থা করা হবে।’’ এর জন্য পাঁচ সদস্য়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের আগেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ দিনও চলেছে হকার উচ্ছেদ। পাশাপাশি, উত্তর থেকে দক্ষিণের শহরতলিতেও চলেছে অভিযান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে যদুবাবুর বাজারে গিয়ে দেখা গেল, ফুটপাতের দোকানের অধিকাংশ কাঠামোর ত্রিপল খোলা হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের সময় না দিয়েই আগের রাতে পুলিশ স্টলের ত্রিপল ছিঁড়ে দেয়। কয়েক জন ব্যবসায়ীর দাবি, ফুটপাতে রাখা কিছু জিনিসও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। আরও দাবি, ব্যবসার লাইসেন্স দেখালেও পুলিশ মানতে চায়নি। এমন পরিস্থিতিতে হকারদের অনেকেই এখন নিয়ম মেনে ফুটপাতে ব্যবসা করতে চাইছেন। যতটা ছাড় রাখতে পুলিশ বলেছে, ততটা রেখেই তাঁরা ব্যবসা করবেন। তবে তাঁদের দাবি, ছাউনি হিসাবে ত্রিপল টাঙাতে দিতে হবে অথবা পুরসভাকে কাঠামো বানিয়ে দিতে হবে।

এ দিন গড়িয়া, সোনারপুরেও বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করে চলা দোকানঘর উচ্ছেদের অভিযানে নামে প্রশাসন। সকালে গড়িয়ায় কবি নজরুল মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাতের স্টলের বাঁশের কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়। এলাকায় ছিলেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লব দাস ও অন্যেরা। সূত্রের খবর, গড়িয়া থেকে মহামায়াতলা পর্যন্ত রাস্তার ধারের সব বেআইনি দোকান তুলে দেওয়া হবে। সোনারপুর বাজার এলাকাতেও এ দিন অভিযান চললে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। শ্যামলী দাস নামে এক মহিলা বলেন, “শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডারে পেট চলে না। এই দোকানের রোজগারেই তো খাই। তুলে দিলে যাব কোথায়?”

Advertisement

অন্য দিকে, বিটি রোডের ডানলপ মোড় থেকে কয়েকশো মিটার পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বুধবার রাতেই পুলিশ হকারদের সরে যেতে বলেছিল। এ দিন ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী বুলডোজ়ার নিয়ে গিয়ে কয়েকটি দোকান ভাঙলে পরে দোকানিরাই জিনিস সরিয়ে নেন।

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, কোথায় কত হকার বসছেন, সেই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরে বেআইনি পার্কিংয়ের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement