কলকাতার বিভিন্ন থানার ওসি এবং অন্যান্য পদে ৭৯ জনের বদলি হতে চলেছে।—ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশের থানা স্তরে বড় ধরনের রদবদল হতে চলেছে। বিভিন্ন থানার ওসি, অ্যাডিশনাল ওসি এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ-সহ বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আগামী দিনে প্রশাসনিক স্তরে আরও রদবদলের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এবং জেলা শাসকদেরও বদলি করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে যে তথ্য এসেছে, তাতে বদলির তালিকায় ৭৯ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম কালীঘাট থানার ওসি শান্তনু সিংহ বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কালীঘাট থানার অধীনে। সেই থানার ওসি শান্তনুকে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্র সরোবর থানার ওসি জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়কে আনা হচ্ছে। কালীঘাট থানার অ্যাডিশনাল ওসি সত্যজিৎ কর্মকারকে রবীন্দ্র সরোবর থানার ওসি করে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়াও, বউবাজার থানার ওসি সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীকে পাঠানো হচ্ছে একবালপুর থানায়। জোড়াসাঁকো থানার ওসি মুকুলরঞ্জন ঘোষকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। যাদবপুর থানার ওসি অমিত দে সরকারকে আনা হচ্ছে শেক্সপিয়র থানায়। নেতাজি নগর থেকে চারু মার্কেট এলাকায় আনা হচ্ছে শুভাশিস অধিকারীকে। পর্ণশ্রী থানার ওসি মনোজ কুমারকে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে বিচ্ছেদ, মন্ত্রিত্বের পর কি জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুলে শুভেন্দু
আরও পড়ুন: রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা
আনন্দপুর থানার ওসি দেবলকুমার দাসকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কড়েয়া থানার ওসি আবদুল্লা সানাকে সরিয়ে আনা হচ্ছে এন্টালিতে। পর্ণশ্রী থানার অ্যাডিশনাল ওসি মহুয়া বিশ্বাসকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বালিগঞ্জে।
ঘটনাচক্রে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিধানসভা ভোট ছ’মাস দেরি থাকলেও তাঁর এই পদক্ষেপকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। নির্বাচনের আগে জেলা পুলিশ সুপার স্তরেও বড় ধরনের রদবদলের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কিছু জেলার এসপি বদলি করা হতে পারে। বদলি হতে পারেন জেলাশাসকরাও।
বস্তুত, নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন থানার এসি, ওসি, এসপি এবং জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। নির্বাচন কমিশনেও সেই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ব্যাপারে কমিশন হস্তক্ষেপ করার আগেই কলকাতা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলিতে রদবদল ঘটানো হচ্ছে বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।