অনুদান সাড়ে ১৮ কোটি

আন্তর্জাতিক ফুটবলের আগে সাজবে সল্টলেক

গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতাকে বিদেশি শহরের আদলে সাজিয়ে তোলার প্রয়াস করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৮
Share:

গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতাকে বিদেশি শহরের আদলে সাজিয়ে তোলার প্রয়াস করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সৌন্দর্যায়নের নিরিখে এ শহর সত্যিই বিদেশি শহরের সমতুল্য হতে পারছে কি না, তার পরীক্ষা আর কয়েক মাস পরেই। বিশ্ব ফুটবলের হাত ধরে সল্টলেক উপনগরীর ছবি আগামী অক্টোবরে ফুটে উঠবে বিশ্বের ক্যানভাসে। তার আগে ওই এলাকাকে সাজিয়ে তুলতে বিধাননগর পুর নিগমকে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা অনুদান দিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

আগামী অক্টোবরে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হচ্ছে ভারতে। দেশের ছ’টি শহরে ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিধাননগরের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি দর্শকাসন।

ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) পর্যায়ের প্রতিযোগিতা এই প্রথম হচ্ছে যুবভারতীতে। ফলে বিভিন্ন দেশের ফুটবলপ্রেমী, সরকারি প্রতিনিধিরা এখানে আসবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় ভাঙাচোরা স্টেডিয়ামের বাইরের ফুটপাথ, রাস্তার বুলেভার্ড, আগাছায় ভরে থাকা খালপাড়— জরাজীর্ণ এই চিত্র মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। তাই ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের আওতায় জানুয়ারির শুরুতেই এই কাজে বরাদ্দ সাড়ে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধাননগর পুর নিগমকে।

Advertisement

এ বিষয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘গ্রিন সিটি প্রকল্পে দেওয়া ওই টাকায় এক দিকে যেমন সল্টলেকের সুন্দর চেহারা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা যাবে, সঙ্গে নাগরিকেরাও সুন্দর পরিবেশ পাবেন।’’

বিধাননগর পুর নিগমের কর্তারা আরও জানাচ্ছেন, সল্টলেক স্টেডিয়ামের আশপাশের ফুটপাথ ও রাস্তার মেরামতি হবে। ফুটপাথের উপরে বসানো হবে ব্লক। স্টেডিয়ামের আশপাশের বুলেভার্ডগুলিতে রং করে সেগুলিতে নতুন করে গাছ বসানো হবে। সংস্কার করা হবে ইস্টার্ন ড্রেনেজ খালের পাড়ের একটি অংশেরও। বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে স্ট্যাচু বসানো, আরবুরি শিল্প— সব দিয়েই সাজিয়ে তোলা হবে খালের পাড়। সর্বত্রই সুন্দর আলোয় সাজিয়ে দেওয়া হবে। সৌন্দর্যায়ন হবে ব্রডওয়ে, সিটি সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকারও।

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘বেশ কিছু কাজের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে, যাতে অক্টোবরের মধ্যেই সব শেষ করে দেওয়া যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement