প্রতীকী ছবি
শিশু বিক্রির টোপ দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃতের নাম সুজয় চক্রবর্তী। তার বাড়ি হুগলির পান্ডুয়ার অরবিন্দপল্লিতে। সে সেখানে নিজেকে হোমিয়োপ্যাথির চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিত। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত এলাকার বাসিন্দা, পেশায় গৃহশিক্ষক চন্দ্রাশিস দত্ত ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’ (কারা)-র কাছে একটি শিশু দত্তক নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। গত ২২ অগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। চন্দ্রাশিসের কথায়, ‘‘ফোনে আমাকে জানানো হয়, ‘কারা’র কাছে আমার আর্জি মোতাবেক সন্তান দত্তক নিতে হলে দমদমের একটি সেন্টারে যেতে হবে। যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি নিজেকে স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়ে জানান, দ্রুত শিশুটিকে পেতে হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমি ওই ব্যক্তির কথা প্রথমে বিশ্বাস করলেও টাকার অঙ্ক শুনে এবং তাঁর তাড়াহুড়ো দেখে ‘কারা’য় সব জানাই।’’ এর পরেই ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বলে জানান ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে ২৪ অগস্ট সাইবার ক্রাইম থানায় পুরো ঘটনাটি জানান চন্দ্রাশিসও। ওই রাতেই কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে পৌঁছয় পান্ডুয়ায়। গ্রেফতার করা হয় সুজয়কে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা-প্রধান শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, ‘‘যিনি দত্তক নিতে চাইছেন, তাঁকে কী ভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি ফোন করলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে চক্র রয়েছে বলে অনুমান। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।’’