প্রতীকী ছবি।
ছিল শুধু মাতৃসদন। এ বার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) সেখানে চালু হচ্ছে মাল্টি-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। আগামী সোমবার থেকে পুরোদমে চালু হবে বরাহনগর মিউনিসিপ্যালিটি হাসপাতালটি।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় ন’হাজার বর্গফুট এলাকায় তৈরি হয়েছে দ্বিতল হাসপাতাল ভবন। তার সঙ্গে র্যাম্পের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে মাতৃসদনটিকে। সৌগত রায়ের সাংসদ তহবিল এবং
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ফিনান্স কর্পোরেশন-এর থেকে নতুন হাসপাতাল তৈরির জন্য কয়েক কোটি টাকা আর্থিক অনুদানও পেয়েছে পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, মার্চে উত্তর কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালের সঙ্গে তাঁদের মউ স্বাক্ষরিত হয়। সম্প্রতি পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয়েরা জানান, একটা সময়ে মাতৃসদনের এমন অবস্থা হয়েছিল যে কোনও রোগী আসতেন না। সিজ়ারের দরকার হলে প্রসূতিদের অন্যত্র পাঠাতে হত।
এলাকায় সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা বলতে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘‘মানুষকে আরও উন্নত পরিষেবা দিতেই এই হাসপাতালের পরিকল্পনা। বিধায়ক ও সাংসদ তহবিলের টাকায় আর একটি তল তৈরি করে আরও কিছু পরিষেবা যোগ করা হবে।’’ আপাতত মাতৃসদনে ৪০টি ও সাধারণ হাসপাতালে ৩০টি শয্যা রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা জরুরি চিকিৎসা, ডায়ালিসিস, অস্ত্রোপচার-সহ ইন্ডোর পরিষেবা মিলবে। বহির্বিভাগে পাওয়া যাবে নেফ্রোলজি, জেনারেল মেডিসিন, প্যাথলজি এবং এক্স-রে পরিষেবা। কিছু দিনের মধ্যে আইসিইউ, নিকু-সহ অন্য পরিষেবাও চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।