জামিন খারিজ হওয়ায় অভিযুক্ত পক্ষের পরিবার ও তাঁদের সঙ্গীরা আদালত চত্বরে অভিযোগকারী পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক মারধর করলেন। বাধা দিতে গিয়ে আহত হলেন এক মহিলা আইনজীবীও। এই ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয় বিধাননগর এসিজেএম আদালত। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ধৃতদের নাম শিবানী চট্টোপাধ্যায় ও প্রিয়তম চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ জানায়, বীজপুর থানা এলাকায় এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই কিশোরের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ মৃত কিশোরের পাঁচ বন্ধুকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিধাননগরে জুভেনাইল আদালতে। কিন্তু বিচারক না থাকায় মামলা স্থানান্তরিত হয় এসিজেএম আদালতে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে এসিজেএম অপূর্বকুমার ঘোষ অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করেন। এর পরেই এজলাস থেকে বেরিয়ে দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তা হাতাহাতিতে গড়ায়। পুলিশ জানায়, এর মধ্যে অভিযোগকারী পরিবারের এক সদস্য সুদীপ রায়কে বেধড়ক মারধর করে একদল।
ময়ূখ ভবনের তিনতলায় ওই আদালত চত্বর থেকে দু’পক্ষের ওই ধস্তাধস্তি তখন নেমে আসে একতলায়। সেখানে মারধরের হাত থেকে এক জনকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিধাননগর আদালতের এক মহিলা আইনজীবী। সেই আইনজীবীকে বাঁচাতে গেলে রুবি ভট্ট নামের এক মহিলাও আক্রান্ত হন। তাঁর হাতে কামড়ে দেন এক মহিলা। আক্রান্ত মহিলার হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা আদালত চত্বরে। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর যায় পুলিশে। বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আক্রান্ত মহিলা আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।