আগাছায় ঢেকেছে পরিত্যক্ত স্টেডিয়াম

নির্মীয়মাণ স্টেডিয়ামটির আশপাশে বসবাস করেন অসংখ্য মানুষ। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, এ ছাড়াও কেষ্টপুর খালের উপরে একটি সেতু তৈরির কাজ হয়েছিল। সেখানেও জমা জলে তথৈবচ অবস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:২৯
Share:

অবহেলা: এমনই অবস্থা গ্যালারির। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অর্ধসমাপ্ত অবস্থাতে পড়ে রয়েছে নির্মীয়মাণ সেই স্টেডিয়াম। পরিত্যক্ত সেই জায়গায় জমা জলে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার জেরে শীতেও মশার কামড় থেকে নিস্তার নেই। এ দিকে, মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি সত্ত্বেও বাগুইআটির ওই ডিপো মাঠ এলাকা নিয়ে বিধান নগর পুরসভার তরফে কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা।

Advertisement

নির্মীয়মাণ স্টেডিয়ামটির আশপাশে বসবাস করেন অসংখ্য মানুষ। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, এ ছাড়াও কেষ্টপুর খালের উপরে একটি সেতু তৈরির কাজ হয়েছিল। সেখানেও জমা জলে তথৈবচ অবস্থা। কয়েকটি পরিত্যক্ত বাড়ির চৌহদ্দিতে গজিয়ে ওঠা ঝোপজঙ্গল নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। গত বছরে ডেঙ্গিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ওই পুর এলাকায়। বারোশোর বেশি জ্বর ও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। তার পরেও নজরদারিতে এই অনীহা নিয়ে বিরক্ত বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, নির্মীয়মাণ স্টেডিয়ামের আশপাশে সৌন্দর্যায়ন এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে পুরসভা। কিন্তু অর্ধসমাপ্ত স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে সর্বত্র জমে থাকা জল আর জঙ্গল নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই প্রশাসনের।

পুরসভা সূত্রের খবর, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা করেছিল ওই পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান পারিষদ বর্তমানে বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিধাননগর পুরসভার সঙ্গে মিশে যাওয়ায় স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা আর এগোয়নি। ওখানকার একটি জলাশয়ে সুইমিংপুল করার পরিকল্পনা হয়েছে। তা কার্যকর হবে। তখন পরিস্থিতি অবশ্যই বদলাবে বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

পুরসভার কাছে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, প্রকল্প কার্যকর না হলেও সেই এলাকার পরিস্থিতির দিকে কেন নজর থাকবে না? কেন দীর্ঘদিন ধরে সাফাই কাজ বন্ধ থাকবে?

এর উত্তরে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানাচ্ছেন, বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড থেকে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে পুরসভার কেন্দ্রীয় দলকেও সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement