অবশেষে এক বছর আট মাসের মাথায় মূল কালভার্ট ভেঙে নতুন করে তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। ফাইল ছবি।
দমদম রোডে বাগজোলা খালের উপরের কালভার্টে একটি বড়সড় গর্ত দেখা দেওয়ায় সেটির সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০২১-এর অগস্টে। তখন শুধু কালভার্ট সংস্কারই নয়, আশপাশে একাধিক পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুর প্রশাসন।
অবশেষে এক বছর আট মাসের মাথায় মূল কালভার্ট ভেঙে নতুন করে তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। এর জন্য শুক্রবার রাত থেকে ওই কালভার্টে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। কালভার্টের দুই মুখে বসানো হয়েছে গার্ডওয়াল। এর জেরে দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার পর্যন্ত সরাসরি কোনও গাড়ি যেতে পারছে না। খালের দু’পাশ থেকে দু’দিকের অটো চলছে। এত দিন কালভার্টের উপর দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচলের অনুমতি ছিল।
এই প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সৌমিত্র মজুমদার নামে দমদমের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘যে রাস্তাটি দক্ষিণ দমদমের অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম, সেখানে সংস্কারের কাজে এত দেরি বাঞ্ছনীয় নয়। যাতায়াতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।’’ বাসিন্দাদের দাবি, সময় মতো কাজ শুরু হলে এত দিনে সমস্যা মিটে যেত। এর আগে ওই কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে পুরসভায় স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিরোধীরাও। পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, সংস্কারের কাজ করছে পূর্ত দফতর। তাদের দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া, কারিগরি দিক-সহ একাধিক কারণেই এই বিলম্ব। স্থানীয়দের একাংশ জানান, বাগজোলা খালপাড় বরাবর রাস্তাতেও যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এক পুরকর্তা অবশ্য জানান, সেখানে পুরসভার একটি কাজ চলছে। এক-দু’দিনের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০২১ সালের অগস্ট মাস থেকে বাস এবং ভারী যান চলাচল বন্ধ হয় ওই রাস্তায়। শুধু দমদম স্টেশন থেকে বাগজোলা খাল অংশে বাস চলাচলের অনুমতি ছিল। পুরো রাস্তায় চলত অটো এবং ছোট গাড়ি। বড় গাড়ির কালভার্টে উঠে পড়া আটকাতে খালের দু’পাশে বসানো হয় হাইট বার। হাঁটার রাস্তা রাখতে বাগজোলা খালের উপরে একটি ফুট ওভারব্রিজও তৈরি করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, কালভার্টে যান চলাচল পুরো বন্ধের বিষয়টি জানাতে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। খালের ধারে হোর্ডিংও লাগানো হয়েছে। যান চলাচল ঠিক রাখতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ট্র্যাফিক কর্মীদের।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরী জানান, কালভার্ট সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। এই প্রকল্প হলে জনবহুল দমদম রোডে চলাচলের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশা পুর কর্তৃপক্ষের। পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, প্রকল্পটির একাধিক দিক থাকায় সময় লাগছে। তবে ভবিষ্যতের স্বার্থে বাসিন্দাদের সহযোগিতামিলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চেয়ারম্যান পারিষদ (পূর্ত) নাভাস মালাকার বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ও বিকল্পপথের ব্যবস্থা করেই কাজ শুরু করা হচ্ছে।’’